বিজ্ঞাপন

জেএসসিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ১১টি স্কুলের কেউ পাশ করেনি

December 24, 2018 | 6:50 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

দিনাজপুর : চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ১১টি স্কুলের একজন শিক্ষার্থীও পাশ করেনি। যদিও এসব বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক থেকে ১০ জন।

গতবছর একজনও পাশ করেনি এমন স্কুলের সংখ্যা ছিল ১৩টি। সে হিসেবে এবার পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে।

১১টি বিদ্যালয় হলো-নীলফামারীর ডোমার উত্তর মাটকপুর জুনিয়র গার্লস স্কুল, একই উপজেলার সবদিগঞ্জ জুনিয়র স্কল, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কালিরকান্দা জুনিয়র স্কুল, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিসামত বীরচরন বদি (কে.বি) জুনিয়র গার্লস স্কুল, একই উপজেলার নদী ও জীবন জুনিয়র স্কুল, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাসুরিয়া জুনিয়র স্কুল, লালমনিরহাট সদর উপজেলার সোনাতলা জুনিয়র সেকেন্ডারী স্কুল, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার অগ্নিবীনা জুনিয়র হাই স্কুল, একই জেলার হরিপুর হরিজেলার টেংরিয়া জুনিয়র গার্লস স্কুল, একই উপজেলার পি. জি. এ জুনিয়র গার্লস স্কুল, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ব্রামত্তর সুন্দরদিঘী জুনিয়র হাই স্কল এবং একই জেলার আটোয়ারী উপজেলার বড়গাতি জুনিয়র স্কুল।

বিজ্ঞাপন

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান জানান, যেসব বিদ্যালয় থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি এসব বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বোর্ডের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সারাদেশে একযোগে জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে গড় পাশের হার ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

দুপুরে দিনাজপুর শিাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। গত বারের চেয়ে এবারে পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা উভয়ই কমেছে। গতবার ছিল পাশের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ছিল ২০,০৬২ জন।

বিজ্ঞাপন

দিনাজপুর শিাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের জেএসসি পরীায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮৯ জন পরীার্থীর মধ্যে ২ লাখ ২ হাজার ৭৫৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ৯৫ হাজার ৯৩৩ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ৬ হাজার ৮২৩ জন। গড় পাশের হার ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ফলাফলে এবারেও ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা সামান্য এগিয়ে রয়েছে। ছাত্রদের পাশের হার ৮০.২৬ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাশের হার ৮২.৯০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৩০৩ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র ৩০৩৪ জন ও ছাত্রী ৩২৫৯ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৬২ জন।

মো. তোফাজ্জুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার ফলাফল তেমন সন্তোষজনক নয়। কারণ ইংরেজীতে প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ার কারণে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়া এবারে পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিার্থীর সংখ্যা দু’টিই সামান্য কমেছে। তিনি বলেন, এবারে কেইই পাশ করেনি অর্থাৎ শূন্য ফলাফল প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের ১১টি। যা গতবার ছিল ১৩টি। অপরদিকে শতভাগ পাশকৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যাও কমেছে। এবারে শতভাগ পাশকৃত বিদ্যালয় ৩০২টি যা গতবারে ছিল ৫৮০টি।

সারাবাংলা/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন