বিজ্ঞাপন

গণপরিবহন নেমেছে, মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা বহাল

December 31, 2018 | 3:17 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঢাকা সড়কে কম সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করছে। তবে সকালের দিকে যাত্রী কিছুটা পাওয়া গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সংখ্যা কমে যায়।

রাস্তা অনেকটা ফাঁকা থাকায় রাজধানীর গণপরিবহনগুলো খুব দ্রুতই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাচ্ছে। অন্যদিকে টানা চার দিন মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আজও বন্ধ রয়েছে মোটরসাইকেল। তবে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞার বাইরে চলাচল করছে।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে যোগাযোগ ও সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে যান চলাচলের ওপর বিশেষ নির্দেশনা আরোপ করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে যান চলাচল পুনরায় চলবে।

এছাড়া ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। সাংবাদিক ও পুলিশ এর আওতায় পড়বে না বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী রাজধানীতে মোটরসাইকেল চলাচল ও গণপরিবহন বন্ধ থাকে। নিষেধাজ্ঞা শেষে গণপরিবহন রাস্তায় নামলেও এর সংখ্যা একেবারই কম। সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন চলতে দেখা যায়। বিআরটিসি, গ্রিন পরিবহন, ভিআইপি পরিবহন, ওয়েলকাম পরিবহন, সিটি বাস, তরঙ্গ, মালঞ্চ বাসগুলোকে চলাচল করতে দেখা যায়। একইসঙ্গে বিভিন্ন রুটের লেগুনাগুলোকে স্বল্প সংখ্যক আকারে চলতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

সোমবার বেলা ১১টার দিকে মতিঝিলে ওয়েলকাম পরিবহনের চালক মশিউর রহমানের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, সাভার থেকে মতিঝিল আসতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট। আগে যেখানে সময় লাগত আড়াই ঘণ্টার মতো। রাস্তা ফাঁকা থাকায় আসতে সুবিধা হয়েছে।

যাত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগের মতো যাত্রী ছিল না। যাওয়ার সময় আরও হবে না।’

তবে বিকেলের দিকে কিছু সংখ্যক যাত্রী হতে পারে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মতিঝিলে কথা হয় আশিকুর রহমান নামে একজন চাকুরীজীবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কল্যাণপুর থেকে মতিঝিলে অল্প সময়ে তিনি এসেছেন। বাসে লোকজন কম ছিল।’ গণপরিবহনও অনেক কম বলে জানান তিনি।

বিআরটিসির চালক হুমায়ুন রশিদ বলেন, ‘ঢাকা থেকে বেশির ভাগ লোক তো গ্রামে গেছে। তারা আবার আসলে ঢাকা শহর সরগরম হয়ে উঠবে। বাসও বাড়বে, সেই সাথে যাত্রীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বেশির বাস পুলিশ রিকুইজিশন করে নিয়েছে। কোনো বাস দুইদিন আবার কোনোটা পাঁচদিনের জন্য নিয়েছে। এগুলো ফিরে এলে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়বে। শুধু ঢাকা শহরেই পুলিশকে গাড়ি দিতে হয়েছে প্রায় ১০ হাজারের মতো।’

রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন রাজধানীর সড়কগুলো যেভাবে ফাঁকা ছিল আজ তা নেই। সড়কে লেগুনা নেমেছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক রিকশা ভ্যান চলাচল করছে। প্রাইভেট গাড়িও সড়কে নেমেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মাসুদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশের পর্যাপ্ত সংখ্যক গাড়ি না থাকায় মাঝে মধ্যে বাইরে থেকে রিকুইজিশন করা হতো। তবে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে তো অনেক গাড়ির দরকার হয়েছে। তাই গণপরিবহন থেকেই সব চাহিদা মেটানো হয়েছে। এটা জাতীয় স্বার্থেই হয়েছে। এদেশ সবার তাই সবাই সহযোগিতা করেছে। ডিএমপিতে ৭ থেকে ৮ হাজারের মতো গণপরিবহন থেকে গাড়ি রিকুইজিশন করা হয়েছে।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন