বিজ্ঞাপন

‘ইংরেজদের শোষণে দীন হলেও বাঙালি মননে সমৃদ্ধ হয়েছে’

January 7, 2019 | 6:46 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেছেন, ঔপনেবিশেক আমলে ইংরেজদের শোষণে বাঙালি দীন হলেও, মননের জগতে সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশ্বসাহিত্যে ইংরেজি ভাষার অবদান অনেক। ইংরেজি ভাষার ছাত্র-ছাত্রীরা এর মাধ্যমে অবশ্যই নিজেদের জীবনকে আলোকিত করবে। কিন্তু তাদের দেশীয় ভাষা-সংস্কৃতি এবং দেশের দীন-দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষের প্রতিও মমত্ববোধ থাকতে হবে।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইংরেজি বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অনুপম সেন এসব কথা বলেন। ইংরেজি বিভাগের ৩৪তম ব্যাচের বরণ ও ২৭তম ব্যাচের বিদায় উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

অনুপম সেন বলেন, বিশ্বের প্রথম সারির বৃহত্তম অধিকাংশ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। তারা ইংরেজির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করেন। সাহিত্যে ইংরেজি ভাষার অবদানও অনেক। শেক্সপিয়ার, শেলি, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কিটস, বায়রন ও ইয়েটস-এর মতো কবি আছেন ইংরেজি সাহিত্যে।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ আমলে ইংরেজদের শোষণের চিত্র তুলে ধরে এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পতন ঘটিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই বাংলাদেশকে ইংল্যান্ডের কলোনিতে পরিণত করেছিল। মাত্র তিন বছরের মধ্যে এই দেশের তৎকালীন ৫০০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ ইংল্যান্ডে পাচার করে। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তারা ক্রমাগত বাংলাদেশকে শোষণ করেছে।

“এরপর বাংলাদেশের মানুষ ইংরেজদের শোষণ থেকে মুক্ত হলেও নতুন করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা শোষণ শুরু করে। ২৩ বছর ধরে তাদের শোষণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ ও ৩ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা”, বলেন অনুপম সেন।

ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম, সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম, সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সুমিত চৌধুরী ও প্রভাষক শান্তনু দাশ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকেরা আহমেদ ও মো. শাহেদ।

সারাবাংলা/আরডি/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন