বিজ্ঞাপন

নতুনদের কাছে প্রত্যাশা আরও বেশি

January 8, 2019 | 1:57 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন, ‘এবার বিশাল জয়ের সঙ্গে মন্ত্রিসভায়ও বিশাল চমক থাকতে পারে। নবীন-প্রবীণ মিলিয়েই মন্ত্রিসভা হবে।’ সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা। এবারের মন্ত্রিসভায় নতুনমুখ ইতিবাচক মনে করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আর তরুণদের কাছে প্রত্যাশাও একটু বেশি, জানালেন তারা। বললেন- প্রশ্নফাঁস রোধ, ব্যাংকখাতে সংস্কার ও পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা এই হলো নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, “এবারের মন্ত্রিসভা নতুন-পুরাতনের সমন্বয়ে হয়েছে। অনেক মেধাবী লোক এসেছে। এর মাধ্যমে নতুন রক্তের সঞ্চালন হলো মন্ত্রিসভায়। অনেক পুরাতনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিরাও এখানে স্থান পেলেন না। এবারের মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞতার ঝুলিও কম। সব মিলিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে আমরা আশাবাদী।”

বিজ্ঞাপন

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন’র (পবা) সহ-সাধারণ সম্পাদক ও প্রিভেনটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, “নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে আমার মতে উচ্ছ্বাসের কিছু নেই। শুধুমাত্র নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন লোক অনেক এসেছেন। নতুনত্বের কারণে তারা ভালো কিছু করতে পারেন, একইসঙ্গে অভিজ্ঞতার অভাব আগের অনেক অগ্রগতি শ্লথ করে দিতে পারে।”

নাখালপাড়ার বাসিন্দা শ্যামল চন্দ্র সাহা বলেন, “মন্ত্রিসভাটি ভালো হয়েছে। তরুণরা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের মধ্যে উদ্যম থাকবে। এছাড়া প্রবীণ রাজনীতিকরা তাদের নির্বাচনি এলাকায় বেশি সময় দিতে পারবেন এবং তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের গতি আরও তরান্বিত করতে পারবেন। এতে বৈষম্যও কমে আসবে।”

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন জোনায়েত উল্লাহ রনি। তিনি বলেন, “সব মিলিয়ে এবারের মন্ত্রিসভা খারাপ হয়নি। তবে দেখার বিষয় নতুনরা কী করেন।”

বিজ্ঞাপন

তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মো. জোবায়ের। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হয়েছে- এটা ইতিবাচক। যেমন শাহাজান খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ। ডা. দীপু মনি আমার পছন্দের একজন, তিনি মন্ত্রিসভায় এসেছেন। আশা করি, শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি সংস্কার আনতে পারবেন। তার সঙ্গে উপমন্ত্রী হিসেবে নওফেল আছেন, আশা করি তাদের সমন্বয়ও ভালো হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র বায়েজিদ খান রাজীব বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে বর্তমান মন্ত্রিসভার কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি। শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিবর্তন এসেছে। এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান শাহেদিন বলেন, আমরা দেখতে চাই, প্রশ্নফাঁস থাকবে না, ভর্তিবাণিজ্য থাকবে না। শহরে যেমন উন্নয়ন হয়েছে, গ্রামেও তেমন উন্নয়ন হবে। থাকবে না ক্যাডার বাহিনী।

পল্টন এলাকায় চা বিক্রি করেন ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, বুড়া-বুড়াদের বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন লোক এসেছে। পরিবর্তন তো হতেই পারে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেকে/ইএইচটি/এটি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
চবি ছাত্রকে মারধরের পর হলের ছাদ থেকে ফেলা চেষ্টার অভিযোগহিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনাঢাকার পয়ঃবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশরানা প্লাজা ধস: ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন ও মামলা নিষ্পত্তির দাবিগরমে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনা সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি ডিএমপিরকল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা ২৮ বছর পর খারিজব্যাংক একীভূতকরণের নামে ঋণ খেলাপিদের দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছেন্যাপ বাস্তবায়নের জন্য চাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইনি ভিত্তিকাদেরকে নিয়ে মন্তব্য, যাত্রী কল্যাণের মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডিজাহাজেই ফিরবেন ২৩ নাবিক, চলছে কয়লা খালাস সব খবর...
বিজ্ঞাপন