বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতির অভিযোগে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

January 9, 2019 | 10:03 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. মনির হোসেন নামে একজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস্ সামশ জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আরও বলা হয়, আসামির কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এদিন রায় ঘোষণার সময় মনিরকে ট্রাইব্যুনালের হাজিরা করা হয়। আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার করে কারাগার পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলমগীর হোসেন ও শীল সুব্রত নামে দুই আসামির খালাসের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

সাইবার ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট কর্মরতা শামীম উসমান সারাবাংলাকে জানান, আসামি মো. মনির হোসেন নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে আপলোড করে দিতেন। এ অভিযোগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আসামিকে এ দণ্ড প্রদান করেন এবং বাকি দুই আসামিকে খালাস প্রদান করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মামলাটি ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার উত্তর রৌহান গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বিকৃতি করা অশ্লীল ছবি বিভিন্ন জনকে দেখাতে থাকেন।

এ খবর জানতে পেরে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আলমগীরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আলমগীর বলেন, তিনি এই ছবিগুলো টাঈাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারের মনির টেলিকম থেকে নিয়েছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করে সাটুরিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার আসামিরা হলেন- আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মনির, শীল সুব্রুত ও শ্রী প্রভাব চন্দ্র সরকার।

২০১৪ সালের ২০ মার্চ সাটারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলাটি বিচারকালে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১০ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সারাবাংলা/এআই/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন