বিজ্ঞাপন

নির্বাচনি ‘খরা’ কাটিয়ে চেনা রূপে ফিরছে কক্সবাজার

January 14, 2019 | 9:40 am

।। ওমর ফারুক হিরু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার: জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে শীত আর ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ ও ইংরেজি নববর্ষের মতো ভরা মৌসুমেও পর্যটকের দেখা মেলেনি কক্সবাজারে। বছরের এই সময়টাতে জমজমাট থাকা হোটেলগুলোও ছিল অতিথিশূন্য। তবে নির্বাচনের রেশ কাটতে কাটতেই পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে এই পর্যটন নগরী। ভ্রমণ পিপাসুরা যেমন ছুটে আসতে শুরু করেছেন তাদের পছন্দের এই স্পটে, তেমননি ভরপুর পর্যটকের আনাগোনায় হাসি ফুটেছে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখেও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের পর থেকে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকের আগমন। শহরের আবাসিক হোটেল-মোটেল আর কটেজগুলো ভরে গেছে পর্যটকে। পর্যটক সংশ্লিষ্টদের কাটাতে হচ্ছে ব্যস্ত সময়। এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। দায়িত্ব পালন করছে অতিরিক্ত টুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কক্সবাজার, সমুদ্র সৈকত, পর্যটন শিল্প,

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটকের ভিড় জমেছে সমুদ্রের পাড়, হিমছড়ি, দরিয়া নগর, পাটুয়ার টেক, ইনানী, সেন্টমার্টিন, মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ, আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্দ বিহারসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে। বিকেলে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট ও সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতজুড়ে পর্যটক আর পর্যটক। তাদের কেউ নেমেছেন গোসলে, কেউ সৈকতে ব্যস্ত সেলফি তুলতে। কেউ কেউ সমুদ্রের পাড়ের চেয়ারে বসে নিজের মতো করে উপভোগ করছে বিশাল সমুদ্রের সৌন্দর্য।

তানভীর হোসেন নামে এক পর্যটক বললেন, গত তিন বছর ধরে কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনের কারণে এবার তা করতে পারেননি। তবে নির্বাচনের পর বন্ধুদের নিয়ে আসতে পেরে সেই দুঃখ ভুলে গেছেন।

তাবাসসুম জাহান নামে আরেক পর্যটক জানান, তিনি পরিবার নিয়ে এই প্রথম কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন। পর্যটন নগরীতে বেড়াতে আসতে পেরে ভীষণ খুশি তিনি। তাবাসসুম বলেন, কক্সবাজার যে কতটা সুন্দর, তা এতদিনে অন্যদের কাছে গল্প শুনেছি, বইয়ে পড়েছি, ছবি-ভিডিওতে দেখেছি। কিন্তু আজ নিজ চোখে দেখে বুঝতে পারলাম, কক্সবাজারের সৌন্দর্য না দেখলে বুঝতে পারা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি জানালেন পর্যটক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়ার দৃশ্য দেখে ভালো লাগছে। টুরিস্ট পুলিশ টহল দিচ্ছে এখানে-ওখানে, লাইফ গার্ডগুলোও সবসময় সতর্ক অবস্থায় দেখছি। এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে তা পর্যটকদের জন্য খুবই ভালো খবর।

কক্সবাজার, সমুদ্র সৈকত, পর্যটন শিল্প,

পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনের তৎপরতার বিষয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, বেড়াতে আসা পর্যটকের নিরাপত্তা দেওয়াসহ তাদের জান-মাল রক্ষায় আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। পর্যটন জোনগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকদের মালামাল নিরাপদে রাখার জন্য লকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন জানান, পর্যটকরা যেন নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকরা যেন খুব সহজে এক স্পট থেকে অন্য স্পটে যেতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে যানজট নিরসনে পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গোটা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা তিন ধাপে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন