January 15, 2018 | 7:44 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মিরপুর থেকে
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ঠিক তিন মাস আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট করেছিলেন তিনে। সেবার অবশ্য আপৎকালীন পরিস্থিতির দাবি মেটাতে উঠে আসতে হয়েছিল, আজ এলেন ছক কষেই। ৩৭ রানের ইনিংসটা হয়তো খুব বড় নয়, তবে সাকিব আল হাসান অস্বস্তিতে ছিলেন, কখনোই মনে হয়নি। ক্যারিয়ারে সবসময়ই যা নিতে চেয়েছেন, এই তিনে ব্যাট করাটাও তেমন একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন সাকিব।
কথাটা অবশ্য খুব একটা নতুন নাও ঠেকতে পারে। ক্যারিয়ারে তো অনেকবারই নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন দলের প্রয়োজনে। নতুন বল হাতে নিয়েছেন, আজও যেমন নিলেন। দুই উইকেট নিয়ে সেই যে কাঁপিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়েকে, পরে তারা আর থিতুই হতে পারেনি। গ্রায়েম ক্রেমার তো পরে সাকিবের ওই ওভারটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে যাওয়া হিসেবে দেখেছেন।
তবে সাকিবের জন্য তিনের চ্যালেঞ্জটা অন্যরকমই ছিল। ওয়ানডেতে এই জায়গায় দীর্ঘদিন সাব্বির রহমান খেলেছেন, তাকেই এখানে লম্বা দৌড়ের ঘোড়া ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু সাব্বির আস্থার প্রতিদান দিতে না পারায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সরে যান সেখান থেকে। প্রথম ওয়ানডেতে সাকিব তিনে ব্যাট করার পর লিটন দাশকে খেলানো হয়েছিল সেখানে। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি বলে সুযোগ পেলেন না ত্রিদেশীয় দলেই।
সাকিব অবশ্য তার আগেও একবার ২০১৪ সালে ব্যাট করেছিলেন তিনে। সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। কোনো রান করতে পারেননি বলেই হয়তো ভুলে গেছেন সেই স্মৃতি। তাকেই মনে করিয়ে দেওয়া হলো, এ নিয়ে তিন বার তিনে ব্যাট করেছেন। কিন্তু নিজের নির্লিপ্ত ভঙ্গিতেই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করলেন, ‘আসলে নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। নতুন চ্যালেঞ্জ না থাকলে উপভোগ করাও কঠিন। পরেরবার চেষ্টা থাকবে যাতে সেট হতে পারলে ইনিংস বড় করা যায়।’
আজ অবশ্য দারুণ শুরু করেও শেষ করে দিয়ে আসতে পারেননি ম্যাচ। তবে তিন নম্বর থেকে লম্বা সময় খেলাটাই তার কাছে দলের চাওয়া, সেটা ভুলছেন না সাকিব, ‘তিন নম্বরের কাছে চাওয়া থাকে যে শুরুতে উইকেট পড়লে তারা যেন থিতু হলে ইনিংস বড় করতে পারে। যেহেতু তিনে ব্যাট করার সুযোগ এসেছে, চেষ্টা থাকবে বড় ইনিংস খেলার।’
সাকিব সেই চাওয়াটা যত ভালোভাবে মেটাতে পারবেন ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল।
সারাবাংলা/এএম