বিজ্ঞাপন

‘স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে মিথ্যাচার করছে’

January 18, 2019 | 2:21 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি একাদশ জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম একাদশ নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে যেভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচনের পর অনেকরকম মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে স্বাধীনতাবিরোধীরা।

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে ‘অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার সুনির্দিষ্ট ও উপযুক্ত কোনো প্রমাণ পায়নি। এরপরও দেশের উন্নয়নের পথকে অমসৃণ করতে তুলতে স্বাধীনতাবিরোধীরা অপ্রপচার চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশের মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া উচিত মত দিয়ে বিএসএমএমইউয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতিমালা আসতে পারে।’ গ্রেনেড হামলাকারীদের পাশে জনগণ দাঁড়াবে না বলেও আশাবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস মালেক বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যাই বলা হোক না কেন, নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। গত এক দশকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন যে দেশটি আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেই ১০০ ভাগ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই কথাটি সত্য। এর পেছনে দায়ী সরকারি ও বিরোধী দলের কিছু দায়িত্বহীন লোক। যে যেখানে সুযোগ পেয়েছে, কিছু অনিয়মতান্ত্রিকতার আশ্রয় নিয়েছে। এটিকে ইস্যু করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আশফাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশের রাজনীতি হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, তরুণ প্রজন্মের কল্যাণের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে, সেটি তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নকেই বাস্তবায়িত করবে।’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করার জন্য করাপশন ট্রাইবাল ও স্পিরিট ট্রাইবাল গঠনের কথাও বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফায়েকুজ্জামান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমানসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/ওএম/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন