বিজ্ঞাপন

ডুবে যাওয়া ট্রলার ও শ্রমিকদের উদ্ধারে রোববার চাঁদপুরে অভিযান

January 20, 2019 | 10:46 am

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়ার পাঁচদিন পরও মাটি বোঝাই ট্রলার ও নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের সন্ধান মেলেনি। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) পঞ্চম দিনও গজারিয়া উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবরি দল, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডাব্লিউটিএর সদস্যরা। তবে সন্ধান মেলেনি কারও। পাওয়া যায়নি ট্রলারটিও।

এ কারণে রোববার (২০ জানুয়ারি) থেকে মেঘনার চাঁদপুর অংশে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা।

শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া উদ্ধারকাজে মেঘনার কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিআইডাব্লিউটিএ সদস্যরা উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ব্যবহার করে রশি বেঁধে রেকি টেনে খোঁজ করেন নদীর তলদেশে। নৌবাহীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সাইড স্ক্যানার এর মাধ্যমেও ট্রলারটির অবস্থান সনাক্তের চেষ্টাও চালানো হয়। তবে গত সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা অভিযানে কিছুই পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

বিআউডাব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি যদি নদীর তলদেশের কোন গর্তে পড়ে থাকে সেক্ষেত্রে তার উপর বালির গভীর আস্তর পরে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ট্রলারের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া কঠিন হবে। না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এর আগে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে গজারিয়া থানায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক জাকির দেওয়ান, সারেং  হাবিব ও দুর্ঘটনায় জড়িত তেলের ট্যাংকারের মালিককে আসামি করে মামলা করেন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী শাহ আলম।

অন্যদিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিই সনাক্ত না হওয়ায় এ বিষয়ে গঠিত ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য সোমবার ভোর রাত ৩টায় চাঁদপুরের মতলব উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সীমান্তবর্তী কালিপুরা এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্যাংকারের ধাক্কায় ৩৪ শ্রমিক নিয়ে ডুবে যায় মাটি বোঝাই ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ জন সাতঁরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ ২০ শ্রমিক। নদী সাঁতরে তীরে উঠা শ্রমিকদের বরাত দিয়ে গজারিয়া নৌপুলিশ জানায়, মাটি নিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দিকে যাচ্ছিলো ট্রলারটি। নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় মিলেছে। তাদের বাড়ি পাবনার ভাংগুড়া উপজেলায়।

সারাবাংলা/এসএমএন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন