বিজ্ঞাপন

ঢাকার যানজট নিরসন ও বিনিয়োগে আগ্রহী কোইকা প্রেসিডেন্ট

January 21, 2019 | 9:01 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট লি মিকিয়াং।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। আমি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে তুলে ধরব, যেন বিনিয়োগকারীরা এ দেশে আসেন।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কোইকা প্রেসিডেন্ট। চার দিনের সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি। সার্বিক উন্নয়ন সহায়তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়টি তার সফরের অন্যতম এজেন্ডা।

বিজ্ঞাপন

সফরে সোমবার কোইকা প্রেসিডেন্ট লি মিকিয়াং রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এসময় নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কোইকার প্রেসিডেন্ট।

সাক্ষাৎ শেষে কোইকা প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের মানুষকে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। সেই বেদনাবিধুর অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে রোহিঙ্গাদের। এজন্য কিছু সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। তবে আশা করছি, এ সমস্যার সমাধান হবে।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম দেখে বিরক্ত হয়েছেন লি মিকিয়াং। তিনি বলেছেন, একসময় তাদের দেশেরও এই অবস্থা ছিল। এটা সমাধানযোগ্য সমস্যা। তাই তিনি দেশে ফিরে কোরিয়ার যারা এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেবেন।

অর্থমন্ত্রী জানান, কোইকা ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ২৪টি প্রকল্পে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। এখন চলমান প্রকল্পগুলোতে তাদের সহায়তার পরিমাণ ৫৫ মিলিয়ন ডলার। এখন পর্যন্ত মোট ১১২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে কোইকা।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ক্যাপাটি বিল্ডিং, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে দক্ষিণ কোরিয়া। আমরা তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। আমরা কোইকা প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছি, এ দেশে বিনিয়োগ করে ক্ষতির মুখে পড়তে চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন হবে। আর লাভ করতে চাইলে এমনিতেই হবে।

সৌজন্য সাক্ষাতে অর্থমন্ত্রী কোইকার প্রতিনিধি দলকে জানান, ঢাকায় আন্ডাগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি হলে যানজট কমবে। তাছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হবে। এর মাধ্যমে ১ ঘণ্টা ৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। এছাড়া গ্রামগুলোকে শহরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, যেন গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উন্নয়নের কথা প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। এর একটি অংশ থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য, অন্য অংশটি দেশীয় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন