বিজ্ঞাপন

‘একদিন না একদিন তো জায়গা ছেড়েই দিতে হতো’

January 23, 2019 | 12:12 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনভিজ্ঞ হলেও নতুন মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা অর্জন করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। সেই কাজটি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা করে চলেছেন। তিনি একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। আমরা তো অনেকবার মন্ত্রী ছিলাম। একদিন না একদিন তো আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতেই হতো। সেখানে নতুন মন্ত্রীরা এসেছেন। আমার বিশ্বাস তারাও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করে যেতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভাটি আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভায় বলেন, ১৯৭২ সালে মন্ত্রী হয়েছি, মন্ত্রীর পদমর্যাদায় পলিটিক্যাল সেক্রেটারি অব দ্য প্রাইম মিনিস্টার। আবার বঙ্গবন্ধু যখন রাষ্ট্রপতি হলেন, তখন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছি। ১৯৯৬ সালে শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছি। আবার ২০১৩ সালে শিল্প ও গৃহায়নমন্ত্রী হয়েছি। ২০১৪ সালে বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছি।

তিনি বলেন, এখন একঝাঁক নতুন সংসদ সদস্য দিয়ে মন্ত্রিসভা করা হয়েছে। অভিজ্ঞতা দিয়ে মন্ত্রী হইনি, মন্ত্রী হয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, নতুন মন্ত্রিসভা সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমাপ্ত করবে।

জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর রাজনৈতিক বিভিন্ন ভূমিকার কথা স্মরণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিগত নির্বাচনে বাংলার মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। এমন একটি দিনের জন্য মানুষ অপেক্ষা করেছিল। কারণ ঐক্যজোট বলেন বা বিএনপি বলেন, তারা জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করেছিল। যে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পক্ষে, যে বাংলাদেশ ডিজিটাল, সেই বাংলাদেশে তারা অবাস্তব ইশতেহার দিয়েছে। সে কারণেই মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিজ্ঞাপন

সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমার গ্রাম আমার শহর। এরই মধ্যে আমাদের গ্রাম শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি ছোটবেলায় খালি পায়ে স্কুলে যেতাম। অন্ধকারের মধ্যে বাতি জ্বালিয়ে লেখাপড়া করতাম। রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট-বিদ্যুৎ— কিছুই ছিল না। আর এখন সেই গ্রাম শহর, মানুষের এক হাতে মোবাইল ফোন, আরেক হাতে চা খায়। বাংলার মানুষকে গ্রামে-গঞ্জে দেখলে বুঝাই যায়, তারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। এই বাংলাদেশের স্বপ্নই বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন।

বিএনপি সংসদে না গেলে ভুল করবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, এই নির্বাচনকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে চায়— এটা ভুল। একটা অবাধ নির্বাচন হয়েছে। সারাদেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছে। এই দিনের জন্য মানুষ অপেক্ষা করেছিল, কবে বাংলাদেশের সংসদ হবে যেখানে স্বাধীনতাবিরোধীরা থাকবে না। এবার এই ম্যান্ডেট এই গণভোটের মাধ্যমে মানুষ দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদের সভাপতি নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ অন্যরা।

ফাইল ছবি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন