বিজ্ঞাপন

২৪ জানুয়ারি ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৪র্থ আরসিজি সম্মেলন

January 23, 2019 | 12:10 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তদেশীয় সমন্বয় জোরদার করতে ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী চতুর্থ আরসিজি (রিজওনাল কনসালটেটিভ গ্রুপ) সম্মেলন। আগামী ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের, রুপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায়  সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক সহায়তা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হবে সম্মেলনে। আলোচনা করা হবে ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নির্ধারণ বিষয়ে।

বিজ্ঞাপন

এনামুর রহমান আরও জানান, সম্মেলনে মোট ২৬টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া অংশ নেবে ২৪টি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ১২০ জন প্রতিনিধি। উদ্বোধনী ও কারিগরি মিলিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ১৮টি সেশন।

সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে জরুরি সমন্বয় জোরদার করতে ‘ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ এন্ড এক্সচেঞ্জ’-এর আয়োজন করা। বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমসহ মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয় সাধন। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিভিল ম্যোলেটিারির সমন্বয় জোরদার করা। এছাড়া, ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষতা বৃদ্ধিতে তৎপর হওয়া।

উল্লেখ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও সমন্বয়কারী সংস্থা ইউএনওসিএইচ-এর উদ্যোগে ২০১৪ সালে রিজিওনাল কনসালটেটিভ গ্রুপ (আরসিজি) গঠন করা হয়। সংগঠনটির উদ্দেশ্য ছিল সিভিল মনিটরিং সমেন্বয়ের মাধ্যমে বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রম বেগবান করা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য একশ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় উন্নত বিশ্বের মতো সক্ষম। বিশ্বে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে রোল মডেল।

এনামুর রহমান আরও বলেন, বর্তমান প্রযুক্তিতে আমরা পাঁচ দিন আগে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য পাই। বন্যার আগাম তথ্য পাওয়া যায় ১৫ দিন আগে। এছাড়া, ভূমিকম্পের আগাম তথ্য কিভাবে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী এসময় আরও জানান, জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস, ক্রেনের মাধ্যমে বর্তমানে ২২ তলা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন