বিজ্ঞাপন

সিট দখলকে কেন্দ্র করে ঢাবি সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর

January 30, 2019 | 1:26 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধর করেছে হল ছাত্রলীগের অন্য একটি পক্ষ। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাত দুইটার দিকে সূর্যসেন হলে এই ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম আবু তালেব। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। এই ঘটনায় হল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলের ৬৪১ নাম্বার রুমে সবুজ নামের এক বাসিন্দা প্রস্থানের সময় তার সিটে এক জুনিয়রকে তুলে দিতে বলে। এর ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সহযোগীরা গত ২৪ জানুয়ারি সেখানে দুই ছাত্রকে দিয়ে আসে।

বিজ্ঞাপন

 মঙ্গলবার ওই সিটে আবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের এক সহযোগী জুবায়ের আরও একজনকে তুলে দেয়। এই ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু দুই পক্ষের প্রতিনিধি শপু ও জুবায়ের সমোঝোতার মাধ্যমে দুই পক্ষের জুনিয়রদের থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

পরবর্তীতে শোভনের সহযোগী সিফাত উল্লাহ (ঢাবি থেকে বহিষ্কৃত) ও আশরাফুজ্জামান মিজান দলবল নিয়ে ওই কক্ষে গেলে, সেখানে আবু তালেবকে পেয়ে তাকে মারধর করে। এতে আবু তালেবের নাক-মুখ ফেটে যায়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে ঘটনাস্থলে যেয়ে হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ মো. আব্দুল মোমেন, আবাসিক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান ও সহকারী আবাসিক শিক্ষক সামছুল করিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এই ঘটনায় আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. তারিক জিয়াউর রহমান সিরাজীকে আহ্বায়ক রেখে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুইজন সদস্য হলেন আবাসিক শিক্ষক আমির হোসেন ও সহকারী আবাসিক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে আবু তালেব বলেন, আমি হলের ৬২৬ এর কক্ষ থেকে যাচ্ছিলাম। জটলা দেখে ৬৪১ কক্ষের সামনে দাঁড়াই। সেখানে অপ্রত্যাশিতভাবে সিফাত উল্লাহ মিজানসহ ১০-১২ জন আমার ওপর এলোপাতাড়ি হামলা করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিফাত উল্লাহ সিফাত বলেন, আমি হলেই ছিলাম না। চাংখারপুল থেকে খাওয়া শেষে হলে এসে তিনি ঘটনা শোনেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সিফাত উল্লাহ সহপাঠীর হাত ধরে ক্যাম্পাসে  হাঁটার কারণে অর্থনীতি বিভাগের দুই ছাত্র-ছাত্রীকে গত বছরের ১৪ জুলাই মারধর করে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ জুলাই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বহিষ্কৃত হওয়া সত্ত্বেও তিনি হলে থেকে সক্রিয় রাজনীতি করে যাচ্ছেন। গতমাসে তার বিরুদ্ধে গেস্টরুমে এক সিনিয়রকে মারধরের অভিযোগও ওঠে।

সারাবাংলা/কেকে/আরএ

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন