January 17, 2018 | 4:57 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
শহরের বিভিন্নপ্রান্তে ক্যামেরা ছুটেছে। সঙ্গে প্রশ্ন- ‘অপারেশন কিলো ফ্লাইট সম্পর্কে কিছু জানেন কিনা?’ নানান রঙের-বয়সের-এক্সপ্রেশনের চেহারাগুলো ভাবতে বসেছে তক্ষুণি। নাহ, কারও মুখ থেকে জানা গেলো না সঠিক জবাব। নির্মাতা দীপংকর দীপন এ প্রশ্নোত্তরগুলো বড়স্ক্রিনে দেখাচ্ছিলেন, আর জানাচ্ছিলেন, ‘এ রকম একশ’ মানুষের কাছে গিয়েছি। কেউ জানে না।’
এই না জানাটাই ‘ডু অর ডাই’-এর বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন ছবি। যার জীবনী নিয়ে এ ছবি, সেই শামসুল আলম, বীর উত্তম খেতাব পেয়েছিলেন অপারেশন কিলো ফ্লাইটের জন্য।
শামসুল আলম অপারেশন করেন চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। ভারতের কমলপুর থেকে তিনি ও ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ অটার বিমান নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। এই বিমানে কাঁটা-কম্পাস ছাড়া দিক নির্ণয়ের আর কোনো আধুনিক সরঞ্জামও ছিলো না।
তারা চট্টগ্রামের উপকূল রেখা-বরাবর উড়ে যথাসময়ে পৌঁছান ইস্টার্ন রিফাইনারির তেলের আধারগুলোর কাছে। আক্রমণের নির্ধারিত সময় ছিলো মধ্যরাত। ঠিক রাত ১২টা এক মিনিটে গর্জে ওঠে তাদের বিমানে থাকা রকেটগুলো। প্রথম দুটি রকেট তেলের ডিপোতে নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানে। মোট চারবার তারা সেখানে আক্রমণ চালান।
প্রথমবার সফল আক্রমণের পরও ইস্টার্ন রিফাইনারির কয়েকটি তেলের আধার অক্ষত ছিলো। বিমানে তাদের কাছেও মজুদ ছিলো আরও কয়েকটি রকেট। তখন তারা পুণরায় আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। পরের আক্রমণ ছিলো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ততক্ষণে নিচ থেকে শুরু হয়েছে পাকবাহিনীর গুলিবর্ষণ।
চলচ্চিত্র ‘ডু অর ডাই’তে শামসুল আলমের এই বীরত্বগাঁধাই শুধু উঠে আসবে তা নয়, আসবে পুরো জীবন। নির্মাতা দীপন সিনেম্যাটিক অ্যাঙ্গেল থেকে শামসুল আলমের জীবনকে তিনভাগে ভাগ করেছেন।
প্রথমভাগে তিনি সহজ-সাধারণ রোমান্টিক চরিত্রের। গান করতে ভালোবাসেন। দ্বিতীয়ভাগে তিনি সর্বস্বত্যাগী, অত্যাচার সহ্য করা একজন দেশপ্রেমী বাঙালি। আর ফিনিশিং স্টেজে তিনি সফল মিশনের নায়ক, একজন দক্ষ পাইলট।
‘ডু অর ডাই’ টিম এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি এ বিষয়ে। ছবির কাস্টিং সম্পর্কে শুধু এটুকু জানা যাচ্ছে, মুম্বাইয়ের তারকা শিল্পীদের কাস্টিং করা হবে। থাকবে দেশের প্রথম সারির তারকারা, আর কিছু নতুন মুখও।
ছবি: নূর
সারাবাংলা/কেবিএন/পিএ