বিজ্ঞাপন

উগ্রপন্থা আন্দোলন ছাড়া বন্দিদের মুক্ত করা যাবে না: রব

February 12, 2019 | 8:27 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-রব) নেতা আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এরপর বাংলাদেশে গণতন্ত্র আর ফিরবে কি না জানি না। তবে গণতন্ত্রের লড়াই করতে গিয়ে এক লাখ কর্মী জেল-হাজতে বন্দি। গণতন্ত্র হোক বা না হোক, তাদেরকে মুক্ত করতে হবে। উগ্রপন্থা আন্দোলন ছাড়া তাদেরকে মুক্ত করা যাবে না।’

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পুত্র প্রয়াত রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর শোক সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় গণফোরামের মোকাব্বের খান ও আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির ড. মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, গণফোরামের নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু।

বিজ্ঞাপন

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকারের সঙ্গে জনগণ নেই। বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে অশনি সংকেত দেখা দিচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর চীন দেশে যাওয়া উচিৎ, পশ্চিমে গিয়ে কোনো লাভ নেই।’

ভারত বাংলাদেশের ১৮০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে- বিষয়টির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যে দেশের গরুর দুধের চেয়ে গরুর মুত্রের দাম বেশি, সেই দেশ থেকে আমরা কী প্রশিক্ষণ নেবো?’

গত নির্বাচনের আগে কয়েক দফায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুষ্ঠিত সংলাপের কথা উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংলাপে দেওয়া একটি কথাও রাখেননি। এতে করে ড. কামাল হোসেন ছোট হননি, বরং তার (কামাল হোসেন) গুণ আরও বিকশিত হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর উচিৎ জাতীয় স্বার্থে আবারো সংলাপে বসা।’

বিজ্ঞাপন

ড. মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ নেই। রাজনীতির নামে হিংসা-বিদ্বেষ চলছে।’

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ‘আমাদেরকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যা খুবই লজ্জার ব্যাপার। নিজেরাই নিজেদেরকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছি, ভাবা যায় যে আমাদের রাজনীতি কোথায় নেমে গেছে। আমরা নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে পারছি না। এই রাজনীতি আমাদের দেশের রাজনীতি না। রাজনীতি একটি ভিন্ন শিক্ষা। কোনো দেশের রাজনীতিতেই সরকারি আমলাদের প্রাধান্য নেই, অথচ এখানে উল্টো। এবার পুলিশও বাদ যায়নি।’

সারাবাংলা/জেআইএল/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন