বিজ্ঞাপন

পদ্মাসেতুর আরও চারটি স্প্যান প্রস্তুত, মার্চে বসবে ২টি

February 23, 2019 | 7:21 am

।। সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পদ্মাসেতুতে ৮ টি স্প্যান বসানোর পর এখন আরও ৯টি স্প্যান বসানোর উপযোগী পিলার রয়েছে। এরমধ্যে চারটি স্প্যান প্রস্তুত করা হয়েছে পিলারে তোলার জন্য। আগামী মার্চে ২টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু বিভাগের।  এর একটি ১০ মার্চের মধ্যেই উঠবে বলে জানা গেছে।

পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত চায়না মেজর বিজ্র (এমবিইসি) সূত্র জানায়, ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৮টি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ৪২টি পিলারের মধ্যে ১৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আর স্প্যানের ভেতরে ১৬০টি রেলওয়ে স্লাব বসানো হয়েছে। প্রায় তিন হাজার স্লাব বসাতে হবে পুরো সেতুতে। এ পর্যন্ত একহাজার ৫০০টি রেলওয়ে স্লাব তৈরি হয়েছে। এই স্লাব তৈরি হয়েছে মাওয়া প্রান্তের কুমারভোগ ওয়ার্কসপে। আর জাজিরার দিক থেকে স্লাব বসানো শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, রোড স্লাব তৈরি চলছে নদীর দুই পাড়ে। কুমারভোগ ওয়ার্কসপে দেখা গেছে ৪০০টি রোড স্লাব তৈরি হয়ে গেছে। এগুলো এখনো বসানো শুরু হয়নি। স্প্যানের একেবারে ওপরের অংশে এসব রোড স্লাব বসানো হলেই দেখা যাবে সড়ক পথ। এখনো স্প্যানের উপরিভাগে সড়কপথ দৃশ্যমান নয়।

পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ২৬২টি পাইলের মধ্যে ড্রাইভ করা হয়েছে ২৩৬টি। এর মধ্যে ৩২টি পাইল নদীর দুই পাড়ে। নদীর মাওয়া প্রান্তে ২ ও ৩ নাম্বার পিলার স্প্যান বসানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আর ৪ নাম্বার পিলার থেকে ৫ নাম্বার পিলার পর্যন্ত স্প্যান বসানো রয়েছে। এরপর মাঝনদীতে ১৩ থেকে ১৮ নাম্বার পিলার স্প্যান ওঠানোর জন্য প্রস্তুত। শুধু ১৫ নম্বর পিলারের ওপর ক্যাপ লাগানো বাকি।

বিজ্ঞাপন

এরপর জাজিরা থেকে নদীতে এক কিলোমিটার দূরে ৩৩ ও ৩৪ নাম্বার পিলার পুরোপুরি প্রস্তুত। সব মিলিয়ে ৯টি স্প্যান বসানোর জন্য পিলার প্রস্তুত হয়ে আছে। মোট ৪১টি স্প্যান এবং ৪২ খুঁটিতে পূর্ণরূপপাবে ৬ কিলোমিটারের বেশি লম্বা এই পদ্মা সেতু।

সূত্র জানায়, মার্চ মাসে ৩ টি স্প্যান তোলা যেতে পারে। এছাড়া সামনের প্রতি মাসেই একাধিক স্প্যান বসানো হবে। জানতে চাইলে পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুইল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি মাসেই এখন স্প্যান বসানোর টাগেট রয়েছে। এ কারণে  প্রতি মাসেই এক বা একাধিক স্প্যান বসতে থাকবে। প্রবল বর্ষার মধ্যেও স্প্যান যেন বসানো যায়, সেজন্য স্প্যানবাহী ক্রেন ট্রায়াল দিয়েছে।’

৬ কিলোমিটারের বেশি লম্বা পদ্মাসেতুর সাবিক অগ্রগতি এখন ৬৩ ভাগ। দুই পাশে সড়ক নির্মাণ শেষ হয়েছে। সড়কে টোল প্লাজার নির্মাণও শেষ। দেশীয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা অর্থায়নে বিশ্বের দ্বিতীয় ভয়াবহ খরস্রোতা পদ্মা নদীতে সেতু গড়ে তোলা হচ্ছে। মূল সেতু নির্মাণ করছে চীনের চায়না মেজর বিজ্র কোম্পানি আর নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ ও পাড় বাঁধার কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো কোম্পানি।

সারাবাংলা/এসএ/এমএনএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন