February 24, 2019 | 4:35 pm
।।ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েই নিয়োগ বাণিজ্যে নেমেছেন জাকির হোসেন নামের একজন। এলাকার কোনও একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও মৌলবী নিয়োগে বড় অংকের অর্থ করেছেন তিনি। আর তা চুপিচুপি নয়, পুরোপুরি প্রকাশ্যে।
ঘটনাটি ঘটিয়েছেন রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার।
তার সে কাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে- জাকির হোসেন সরকার কোনও ধরনের রাখঢাক ছাড়াই শিক্ষক ও মৌলবী নিয়োগে টাকা চাইছেন। পদ ভেদে সে অর্থের পরিমান তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ।
ভিডিওতে জাকির হোসেন সরকারকে বলতে শোনা যায়, ‘ আমি একটি প্রস্তাব করছি, হেড মাস্টার পদে সাড়ে তিন লাখ টাকা, মৌলবী পদে সাড়ে তিন লাখ, সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে সাড়ে তিন লাখ, অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান পদে সাড়ে তিন লাখ।’
এছাড়া আরেকটি পদে তিন লাখ টাকার প্রস্তাবের কথা শোনা যায় তার কণ্ঠে।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১৭ লাখ টাকা দিতে হবে।’
তবে এক পর্যায়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে বলেন, ‘১৫ লাখ টাকার কম হবে না।’
ভিডিওটি দেখুন এখানে:
বিজ্ঞাপনএ কোন দেশে বাস করছি আমরা? হেডমাস্টার – সাড়ে তিন লাখ মৌলবী -সাড়ে তিন লাখ সমাজ বিজ্ঞান – তিন লাখ…..যে লোক শিক্ষক নিয়োগে মাইকিং করে নিলাম ডেকে ঘুষ নির্ধারণ করে সে যদি হয় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইলে কেমন হবে বলুন ত? সরকার যখন একদিকে শিক্ষার মান উন্নয়নে জোর দিচ্ছে সেখানে টাকার বিনিময়ে যেনতেন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মান কিভাবে ঠিক হবে? এই কারণেই ত আজ শিক্ষার এই বেহাল দশা চারিদিকে। এই রকম দূর্ণীতিগ্রস্থ মানুষকে নৌকা প্রতিক বরাদ্দ করে জনগনের কাছে কি মেসেজ দেওয়া হচ্ছে? অনুরোধ রইলো সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার। -রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলাপ্রার্থী -জাকির হোসেন সরকারLink-https://www.dropbox.com/s/hz1qvfz8pu8e5u9/jakir-hossain-scandal-rupshi-high-school%20%281%29.mp4?dl=0
Posted by Kamruzzaman Khan on Saturday, 23 February 2019
ভিডিওটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাতে তীব্র সমালোচনা করছেন অনেকেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই এমন দুর্নীতির জন্য ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এই নেতার বেপোরোয়া ভাবকে দায়ী করেছেন।
কেউ কেউ বলছেন, শিক্ষাখাতে দুর্নীতির চিত্রই মূলত উঠে এসেছে এই ভিডিওতে।
শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারের নতুন প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে কেউ কেউ লিখেছেন, এমন দুর্নীতি ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র, সরকারকে তা দমন করতে হবে।
কতিপয় নেতার জন্য গোটা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি অনেকের। এই ব্যক্তির উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
ভিডিওটি শেয়ার করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান খান লিখেছেন, ”এ কোন দেশে বাস করছি আমরা? …..যে লোক শিক্ষক নিয়োগে মাইকিং করে নিলাম ডেকে ঘুষ নির্ধারণ করে সে যদি হয় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইলে কেমন হবে বলুন তো?
সরকার যখন একদিকে শিক্ষার মান উন্নয়নে জোর দিচ্ছে সেখানে টাকার বিনিময়ে যেনতেন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মান কিভাবে ঠিক হবে? প্রশ্ন স্বয়ং এই আওয়ামী লীগ নেতার।
সারাবাংলা/আইই/এমএম