বিজ্ঞাপন

‘আগে চুরি হতো লুকিয়ে, এখন প্রকাশ্যে’

February 26, 2019 | 10:58 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

সংসদ ভবন থেকে: বর্তমান সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। সরকারের লক্ষ্যও দুর্নীতি কমিয়ে আনা। তবে ঘোষণার আর বাস্তবতার সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দীন খান বাদল। তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি হ্রাসের কথা বলা হলেও বহুগুণ সম্পদ উচ্চবিত্তদের হাতে হস্তান্তরিত হচ্ছে। আগে চুরি হতো লুকিয়ে, এখন অনেকটাই প্রকাশ্যে হচ্ছে।’

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাদল বলেন, অনেক জায়গায় আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করছি কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। বঙ্গবন্ধুর সংশোধন শুধু সংরক্ষণ নয়, চর্চাও করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দুর্নীতি হ্রাসের কথা বলা হলেও বহুগুণ সম্পদ উচ্চবিত্তদের হাতে হস্তান্তরিত হচ্ছে। আগে চুরি হতো লুকিয়ে, এখন অনেকটাই প্রকাশ্যে হচ্ছে। এক টাকা চুরি করলে হয় চোর, আর শত-হাজার কোটি চুরি করলে বলা হয় বাপের বেটা। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া প্রকাশ্যে চুরি করে বিদেশে অর্থপাচার করেছে। অথচ আদালত তাদের ৫৮ বার সময় দিয়েছেন। আর দেশে একটা দুষ্টচক্র সৃষ্টি হয়েছে। এই দুষ্টচক্রের ওপর এখনই চরম আঘাত হানা উচিত।

তিনি বলেন, গৌরব এমন একটা জিনিস সবার মধ্যে, সতীর্থদের মধ্যে বিতরণ করে দিলে ভালো হয়। যার যা প্রাপ্য সেই গৌরব প্রদান করতে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) শেষ ভরসা। শুধু ইউনিয়ন নয়, গণতন্ত্রকে দৃঢ়মূলে প্রথীত করতে চাইলে অন্য কোনো সুযোগ নেই। ঘৃণার বিষয় ছড়িয়ে ড. কামাল হোসেনরা কোনো গণতন্ত্র আনতে পারবেন না।

ড. কামাল হোসেনের প্রতি প্রশ্ন রেখে বাদল বলেন, নির্বাচনে কামাল হোসেন সাহেবরা প্রতিদিনই বলেন লেবেল প্লেইং ফিল্ড। টাকার বেলায় তো লেবেল প্লেইং ফিল্ড বলেন না। নির্বাচন কমিশন থেকে তো ২৫ লাখ টাকায় নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। শুধু এইটা, ওইটা শত কথা বলেন। টাকার টা লেবেলে প্লেইং ফিল্ডের বিষয় না? আমরা যারা আছি, যারা ভবিষ্যতে আসবে কত টাকা খরচ করেছি বা করতে পেরছে। অনেকে বলেছি ৮ লাখ টাকা খরচ করে হয়েছি, এটা ঠিক না। পার্লামেন্টকে ওপরে তুলতে হলে সত্যের কঠিন ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন

কর্ণফুলি নদীরক্ষায় একটি কর্ণফুলি নদী কর্তৃপক্ষ গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে যেখানে নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টার রয়েছে সেখান থেকে সরিয়ে শঙ্খ নদীর মোহনায় নেওয়ার প্রস্তাব করছি। এখন যেখানে আছে সেটা একটি টেক্সি স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তায় বাশখালির পাহাড়ি অঞ্চলে পতেঙ্গা জ্বালানি নিরাপত্তা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এমপিদের সামনে সরকারি কর্মকর্তাতে বসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো অনুষ্ঠানে যাব না যেখানে আমার সামনে সরকারি কর্মকর্তা বসবে, আমি পেছনে বসব। এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টে অনুশাসন আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী সংসদ সদস্যের উপরে থাকতে পারবে না। বিষয়টি ভবিষতে মেনে চলতে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন