বিজ্ঞাপন

ময়ূরপঙ্খীর পাইলট ও ক্রুদের সংবর্ধনা

March 2, 2019 | 11:10 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ছিনতাই চেষ্টার শিকার বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স-এর বিমান ময়ূরপঙ্খীর পাইলট ও ক্রুদের সংবর্ধনা দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের সংবর্ধনা জানানো হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী পাইলট ও ক্রুদের বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের প্রশংসা করেন।

২৪শে ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিবিড় তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই দ্রুত সমাধান করায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানান।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া তিনি পাইলট ও ক্রুদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন ‘আপনারা বুদ্ধিমত্তা, সাহস ও আন্তরিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বিমানটির প্রত্যেকটি যাত্রীকে নিরাপদে অবতরণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক বলেন’ ‘বিমান একটি স্পর্শকাতর খাত। এখানে যারা কাজ করেন তাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। ময়ূরপঙ্খীর পাইলট ও ক্রুরা তাই করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সচিব তাদের মেধা ও দক্ষতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘পৃথিবীতে যতগুলো যোগাযোগমাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হল বিমান।’ বিচ্ছিন্ন একটি দুটি ঘটনার জন্য আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে সচিব ময়ূরপঙ্খীর পাইলট ও ক্রুদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ বিমানের অন্যান্য সকল পাইলট ও ক্রুদের সঙ্গে বিনিময়ের ব্যবস্থা করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অনুরোধ জানান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবগণসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এর আগে, ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের একটি  উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে পলাশ নামের এক যুবক। ওইদিন ৫টা ৪১ মিনিটে ট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে উড়োজাহাজটি। প্রাথমিকভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ-র‌্যাব-এপিবিএন উড়োজাহাজটি ঘিরে রাখে। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্যারা কমান্ডো বাহিনী-১ আসে বিএনএস ইশা খাঁ থেকে। তাদের নেতৃত্বে সেনা ও বিমান বাহিনী, পুলিশ-র‌্যাব-এপিবিএন সদস্যরা প্রথমে অস্ত্রধারীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্বাভাবিক অ্যাকশনে যায় প্যারা কমান্ডো। গোলাগুলিতে প্রথমে সে আহত হয়। পরে সে মারা যায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচএ/জেএ/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন