বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন শুনানিতে হট্টগোল, নেমে গেলেন বিচারক

March 3, 2019 | 4:02 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সংসদ নির্বাচনের আগে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন শুনানিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল হয়েছে। বিশৃঙ্খলার মধ্যে শুনানি অসমাপ্ত রেখে এজলাস থেকে নেমে খাস কামরায় চলে যান বিচারক।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসের মৃধা’র আদালতে এই ঘটনা ঘটেছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরীর চান্দগাঁও থানায় দায়ের হওয়া ১১টি মামলায় নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ প্রায় ৭০ জন আসামি জামিন নিতে আদালতে হাজির হন। এদের প্রত্যেকেই হাইকোর্ট থেকে অর্ন্তবর্তী জামিনে ছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে প্রথম মামলার শুনানি শেষে আদালত ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরা হলেন- বিএনপির মাসুদুল্লাহ জাহিদী, মাহবুবুল আলম, নূর আলম, গুলজার হোসেন, ইলিয়াস শেঠ ও শাহআলম।

দ্বিতীয় মামলায় আরও দু’জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপরই মূলত হট্টগোল শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি ও চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পরই বিএনপির নেতাকর্মীদের আইনজীবীরা হইচই শুরু করেন। এরপরই শাহাদাত, বক্কর ও সুফিয়ানের মামলার শুনানি ছিল। তাদেরও জামিন হবে না ভেবে ২০-৩০ জন আইনজীবী মিলে আক্রমণাত্মক ও অশোভন ভাষায় আদালতে চিৎকার করতে থাকেন। এসময় আমার সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে তাদের আচরণ ছিল আদালতের প্রতি অসম্মানজনক।’

বিজ্ঞাপন

এই অবস্থায় দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট বিচারক এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান বলে জানিয়েছেন পিপি।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুধু সময়ের আবেদন করে যাচ্ছিলেন। আমি এর বিরোধিতা করেছি। কারণ তারা সময় ক্ষেপণের কৌশল নিয়েছিলেন। অথচ এর আগেও একই আদালত থেকে একই ধরনের মামলায় পৃথকভাবে ৪০৩ জন আসামি কারাগারে গেছেন।’

জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে, কোনো মামলার এজাহারে নাম থাকলেই জামিন নামঞ্জুর করা যাবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তবেই কারাগারে পাঠানো যাবে। কিন্তু আদালত মেরিট বিবেচনা না করে আসামির রাজনৈতিক পরিচয় দেখে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন। এই অবস্থায় আমরা শুনানি না করে চলে এসেছি। আমরা আদালতকে বলেছি, মেরিট বিবেচনা করা না হলে শুনানিতে অংশ নেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।’

আদালত সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ২টা পর্যন্ত বিচারক আর এজলাসে আসেননি। বাকি ৯টি মামলার শুনানির জন্য ২৫ মার্চ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন