বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশ-সৌদি আরবের সম্পর্কে গতি সঞ্চারিত হয়েছে’

March 4, 2019 | 5:39 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া অন্য খাতগুলোতেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি গতি সঞ্চারিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে শেরে বাংলানগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে নিজ কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি। এসময় বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে এবং এ বছর ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আমরা আগামী বছর ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, আমাদের রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বেতন-ভাতায় সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য নিবেদিতপ্রাণ জনশক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে স্বল্প ব্যয় এবং বৃহৎ শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশের সুবিধা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও বেশি মুনাফার সুযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, পেট্রোকেমিক্যাল, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ মতো বিভিন্ন উদীয়মান খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে এই দেশে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চারিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সৌদিতে প্রচুর পরিমাণে মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে গমন করে। শুধু এ বছরেই ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৩০০, ওমরা ভিসা ৮০ হাজার এবং হজ ভিসা দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার। আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ লক্ষ্যে আগামী ৭ মার্চ সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান সৌদি রাষ্ট্রদূত।

পরে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান বাংলাদেশকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ ও গ্লোবাল আউটসোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। দেশে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে টেকসই করার জন্যই সরকার এই শিল্পাঞ্চলগুলো গড়ে তুলেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুই হাজার একর জমি বরাদ্দ করেছি, যেগুলো বিনিয়োগকারীরা নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যা ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগগুলোর পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে হবে।

সারাবাংলা/এইচএ/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন