বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে পর্দা উঠল মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার

March 6, 2019 | 7:51 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য আমদানিতে আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা ঢাকা থেকে করা উচিত হচ্ছে না। আইপি ইস্যু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কোন যুক্তি নেই। অহেতুক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাণিজ্যমেলার পর্দা উঠছে বুধবার

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১৩ টন পণ্য পরিবহনের বাধ্যবাধকতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবহন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সারা দেশে ২০ টন হলে চট্টগ্রামে ১৩ টন হবে কেন।

ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানী করতে হলে অন্ত:ত একটি বড় অফিস চট্টগ্রামে থাকা দরকার।

বিজ্ঞাপন

একই অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, রাজধানী ঢাকাকে বাঁচাতে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি। সরকার অবশ্যই সেই উদ্যোগ নেবে, যাতে বিভাগীয় শহরগুলো নিজ নিজ মহিমায় গড়ে উঠতে পারে। এতে দেশে সুষম উন্নয়ন হবে।

নওফেল আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে ব্যবসার রাজধানী হবে চট্টগ্রাম। চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম হবে বাণিজ্যিক রাজধানী।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে আনার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে কস্ট অব ডুয়িং বিজসেন কমে আসবে। ঢাকা থেকে আইপি ইস্যু করতে সময়ক্ষেপণ হয়। এতে ব্যবসার ব্যয় বাড়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কে ১৩ টনের ওজন স্কেল ব্যবসায়ীদের বড় দুঃখ।

বিজ্ঞাপন

বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কাস্টম হাউস ভবনের আধুনিকায়ন ও জনবল বাড়া বৃদ্ধি, স্ক্যানার সংকট নিরসনের দাবি জানিয়ে চেম্বার সভাপতি বলেন, বন্দরের প্রতিটি গেইটে স্ক্যানার থাকলে ব্যবসায়ীদের সময় বাঁচবে।

মেলা কমিটির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন ও অঞ্জন শেখর দাশ উপস্থিত ছিলেন।

পলোগ্রাউন্ড ময়দানে চার লাখ বর্গফুট আয়তনজুড়ে আয়োজিত এই মেলায় ২২টি প্রিমিয়ার গোল্ড প্যাভিলিয়ন, ২টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ১৮০টি প্রিমিয়ার মেগা স্টল, ১০টি প্রিমিয়ার গোল্ড স্টল, ১০টি প্রিমিয়ার স্টল, ৬টি স্ট্যান্ডার্ড স্টল ও ২টি রেস্টুরেন্ট এবং থাই জোনসহ ৪৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

এবারও মেলার পার্টনার কান্ট্রি হচ্ছে থাইল্যান্ড। ৪৫০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে তাদের জন্য করা হচ্ছে আলাদা জোন। এছাড়া মেলায় নিজস্ব পণ্য নিয়ে অংশ নিচ্ছে ভারত, থাইল্যান্ড, ইরান ও কোরিয়া।

২৭তম মেলায় প্রথমবারের মতো এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকেট বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার দর্শনার্থীরা ই-টিকেটিং ও মোবাইলের এসএমএস পদ্ধতিতে টিকেট কিনতে পারবেন। প্রতিটি টিকেটের দাম ১২ টাকা।

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন