বিজ্ঞাপন

মধুতে রফতানির সম্ভাবনা দেখছেন কৃষিমন্ত্রী

March 10, 2019 | 7:54 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মধুকে সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্য হিসেবে মনে করছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তবে এর জন্য মধু উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, মূল্যবান মৌ সম্পদ এবং মধু উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। স্বল্পশ্রম ও স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে মৌচাষ থেকে বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ থাকায় এটি সম্ভাবনাময় পেশা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সেই সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও মৌচাষ ও বিপণনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকি অডিটরিয়াম চত্বরে জাতীয় মৌ মেলা ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী এবারের মৌমেলার প্রতিপাদ্য ‘ফলন, আয় ও পুষ্টি বাড়াতে মৌচাষ করি’। এবারের মৌ মেলায় মোট ৬০টি স্টল অংশ নিচ্ছে, মেলা চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, মৌচাষের সম্প্রসারণ পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরাগায়ণের মাধ্যমে ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ফসলের মাঠে মৌ চাষ কৃষকের জন্য বাড়তি আয়ের সংস্থান করে থাকে। মৌসম্পদের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাত অপরিহার্য। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মোট ৩০ শতাংশ নারী সম্পৃক্ত।

মধু রফতানির সম্ভবনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের দেশ থেকে মধু আমদানি করে। কিন্তু আমাদের প্রক্রিয়াজাত ও দেশীয় ব্র্যান্ড না থাকায় কাঁচা মধুও রফতানি করতে হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার মাধ্যমে আমাদের রফতানির ক্ষেত্র বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মধু এখন রফতানি পণ্যের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ফসলের মাঠে মৌমাছি বিচরণ করলে সেখানে বাড়তি পরাগায়ণের কারণে ফসলের উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। মৌচাষের মাধ্যমে মধু আহরণে সমৃদ্ধি ও শষ্য বা মধুভিত্তিক কৃষিজ উৎপাদনও বাড়ে। মৌসুমে সরিষা, ধনিয়া, তিল, কালিজিরা, লিচুসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হয় প্রায় ৭ লাখ হেক্টর জমিতে বা বাগানে। এর মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে মৌ-বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করা হয়। ফসলের পুরো জমিকে মধু আহরণের আওতায় আনতে পারলে ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে, মধু আহরণ বাড়বে কয়েকগুণ।

বিজ্ঞাপন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. আহসানুল হক স্বপন।

সারাবাংলা/এইচএ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন