বিজ্ঞাপন

ইমেজ সংকট কাটাতে জিএসপি সুবিধা প্রয়োজন: বাণিজ্যমন্ত্রী

March 14, 2019 | 2:02 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশের পোশাক খাতের ইমেজ সংকট কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা ফিরে পেলে দুই দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে। আর এ সুবিধা ফিরে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

 

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২৬তম ইউএস ট্রেড শো-২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিন দিনের এ প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (আমচেম) ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের জিএসপি সুবিধা নেই। এ সুবিধা ফিরে পেতে আমরা অনেক কাজ করেছি। সুবিধাটি ফিরে পেতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই উদ্যোগী হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বাজারে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে টিপু ‍মুনশি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের হাব তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে এখন ব্যবসা-বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক সহজ। ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তাই আপনারা (বিনিয়োগকারী) এগিয়ে আসুন।

ভবিষ্যতে দুই দেশের বাণিজ্য আটশ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, শুধু তৈরি পোশাক নয়, অন্যান্য পণ্যও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি করতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণে জোর দিতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, আমচেম প্রেসিডেন্ট নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত আলী সরকার, সংগঠনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আফতাব-উল-ইসলামসহ অন্যরা। পরে মন্ত্রী বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

বিজ্ঞাপন

আয়োজকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের ধারণা দিতেই ঢাকায় তিন দিনব্যাপী এই ‘ট্রেড শো’ আয়োজন করা হয়েছে। অ্যাপল, সিসকো, ডেল, মাস্টার কার্ড, পেপসিকো, বার্গার কিং, কোকাকোলা, ভিসা ওয়ার্ল্ডওয়াইডসহ মার্কিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কসমেটিক ও খাদ্যপণ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। বেচাকেনাও চলছে।

প্রদর্শনীতে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭৪টি স্টল রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য খোলা থাকবে। টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা। তবে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে এ প্রদর্শনীতে প্রবেশ করতে পারবে।

আয়োজকরা বলছেন, পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এ ধরনের প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীর ফলে দুই দেশের বাণিজ্যও বাড়বে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন