বিজ্ঞাপন

গণবহিষ্কারে বিপর্যস্ত তৃণমূল বিএনপি

March 14, 2019 | 11:06 pm

।। আসাদ জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কেন্দ্রের নানামুখী ব্যর্থতার কারণে তৃণমূলকেই বিএনপির মূল শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণহারে বহিষ্কারের ফলে বিএনপির সেই তৃণমূলের শক্তিও দুর্বল হতে শুরু করেছে।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গত ১০ দিনে তৃণমূলের অন্তত ১১০ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সর্বশেষ বুধবার (১৩ মার্চ) তৃণমূলের ১৬ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এর আগে ৩ মার্চ ৮২ জন, ৫ মার্চ আট জন, ৬ মার্চ তিন জন এবং ৭ মার্চ একজনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

গত ১০ দিনে যারা বহিষ্কার হয়েছেন তারা হলেন— নড়াইল জেলা বিএনপির সহসভাপতি অশোক কুমার কুণ্ড, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সালেহা বেগম, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. ফরহাদ হোসেন অনু, চাঁদপুর জেলা মহিলা দলের সহসাধারণ সম্পাদক রেবেকা সুলতানা, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আবদুস কুদ্দস স্বপন, মহিলা দলের সদস্য আমেনা বেগম ডলি ও জুরী উপজেলা বিএনপির সদস্য আজিবুন খানম।

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জ জেলার বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন— জেলা বিএনপির সদস্য কামরুন্নার লুনা, মহিলা দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আসমা বেগম, তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবুল কাশেম, নিকলী উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেখা আখতার ও ভৈরব উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি বাবর আলী বিশ্বাস, ভোলাহাট উপজেলা মহিলা দলের সদস্য রেশমাতুল আরজ রেখা ও শাহনাজ খাতুন; হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এস এম শাহজাহান ও মনজুর উদ্দিন আহমদ শাহীন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আওয়াল, চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস লিয়াকত হাসান, মাধবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ, মহিলা দলের আহ্বায়ক সুফিয়া আক্তার হেলেন, বানিয়াচং উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক তানিয়া খানম, বাহুবল উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক নাদিরা খানম ও লাখাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক তাউস আহমদও বহিষ্কার হয়েছেন।

বহিষ্কারের তালিকায় আরও রয়েছেন— সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মাজহারুল ইসলাম ডালিম, অ্যাডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ, আবদাল মিয়া, সহসভাপতি সোহেল আহমদ চৌধুরী, মহানগর স্বেছাসেবক দলের সহসম্পাদক খালেদুর রশীদ ঝলক, মহিলা দলের সহসভাপতি স্বপ্না শাহীন, সাবেক সহসভাপতি খোদেজা বেগম কলি, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা বেগম, ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান খালেদ ও আশরাফ উদ্দিন রুবেল।

বিজ্ঞাপন

বহিষ্কার হয়েছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জিল্লুর রহমান সোয়েব, উপদেষ্টা শামছুল আলম, যুবদল নেতা সুন্দর আলী, জকিগঞ্জ উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ইয়াহইয়া বেগম, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলে আশরাফ মান্না, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি লুৎফুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপি’র সহসভাপতি আব্দুল হক।

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির নেতা মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক আহমদ নুর উদ্দিন, যুবদল নেতা জুবেল আহমদ, মহিলা দলের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার ইয়াসমিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য আবিদুর রহমান, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক লাল মিয়া, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান সুফী, উপদেষ্টা মনির আলী নানু মিয়া, জহিরুল ইসলাম মুরাদ, বিএনপি নেতা হারুন আহমদ চৌধুরী, যুবদল নেতা সাহেদ আহমদ, মহিলা দলের আহ্বায়ক ফেরদৌসী ইকবাল, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা মো. গোলাম রব্বানী ও মহিলা দলের সহসভাপতি সেবু আক্তার মনি।

বিএনপি থেকে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় নেতা বহিষ্কার হয়েছেন বগুড়া জেলা থেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন— জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রাফি পান্না, সদস্য আলহাজ মো. টিপু সুলতান, শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. মাছুদুর রহমান (হিরু মণ্ডল), সারিয়াকান্দি থানা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপী বেগম, সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জিয়াউল হক লিপন, মহিলা দলের সভাপতি রঞ্জনা খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়নতারা, শিবগঞ্জ থানা মহিলা দলের সভাপতি মোছা. বিউটি বেগম, নন্দীগ্রাম থানা বিএনপির সভাপতি এ কে আজাদ ও যুবদলের সভাপতি আলেকজান্ডার, কাহালু থানা কৃষক দলের সভাপতি শাহাবুদ্দিন, মহিলা দলের সভাপতি মমতাজ আরজু কবিতা, ধুনট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আকতার আলম সেলিম, বর্তমান সভাপতি আলিমুদ্দিন হারুন, সদর থানা মহিলা দলের সভাপতি মোছা. নাজমা আক্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাহিদুল ইসলাম গফুর, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহেরুল ইসলাম, মোছা. জুলেখা বেগম, মোছা. কোহিনুর বেগম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সুলতান আহম্মেদ, বিএনপি নেত্রী অ্যাডভোকেট রহিমা খাতুন মেরি, বগুড়া জেলা ছাত্রদল নেতা ডা. মেহেরুল আলম মিশু, বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার এহসানুল বাশার জুয়েল, বিএনপি নেত্রী সুরাইয়া জেরীন রনি, গাবতলী উপজেলা মহিলা দলের সদস্য সহমিনা আকতার রুমা ও সাবেক কমিশনার শ্যামল সরকার।

নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সদরুল আমিন চৌধুরী, সহসভাপতি মোছা. মনোয়ারা বেগম, মান্দা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আহসান হাবীব, সাপাহার উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নুল আবেদীন, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও ধামইরহাট পৌর মহিলা দলের সদস্য মোছা. শাহিনা রয়েছেন বহিষ্কার হওয়া নেতাদের তালিকায়।

বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটি জেলায় বহিষ্কার হয়েছেন কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নুর নাহার বেগম, নানিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান হাওলাদার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সহমানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক রনো চাকমা, বান্দরবান জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল কুদ্দুছ, আবুল কালাম, মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিরিন আক্তার, হামিদা চৌধুরী ও রুমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জিমসম লিয়ান বম।

মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছেন বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেহানা বেগম হাসনা, যুবদল সহসভাপতি লিটন আহমেদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি নেত্রী হেলেনা আক্তার চৌধুরী, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুয়ীন ফারুক, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পারভীন আক্তার লিলি।

এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ছলিম উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ, পটিয়া উপজেলা মহিলা দল নেত্রী আফরোজা বেগম জোলি, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি নেত্রী শাহ নেওয়াজ বেগম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি নেত্রী শাহিদা আকতার; নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপি নেতা মির্জা পারভেজ এবং রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. সাইদুল ইসলামও দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলে মাত্র ১৩১টি উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এত বিপুলসংখ্যক তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার করে বস্তুত তৃণমূল বিএনপির শক্ত ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। বাকি তিন ধাপে ৩৪৯ উপজেলা নির্বাচনে এই ধারা অব্যাহত থাকলে সারাদেশে তৃণমূল বিএনপি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।

বিএনপির থিংক ট্যাংক হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেওয়া। দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য এটা প্রয়োজন ছিল। তবে গণহারে বহিষ্কার তৃণমূল বিএনপির স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপিকে আরও ভাবতে হবে। আমি বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। কারণ, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, তৃণমূল বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে না গেলে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের। সেক্ষেত্রে পারিবারিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক ও আত্মীয়তার সম্পর্কের সূত্র ধরে বিএনপির তৃণমূলকর্মীরা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ থেকে একটি পক্ষকে বেছে নিত। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এদের অনেকেই আর বিএনপিতে ফিরতে চাইত না। ফলে তৃণমূল বিএনপি বিপুলসংখ্যক কর্মী হারাত। সেই বিবেচনায় বিএনপির যেসব তৃণমূল নেতা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বহিষ্কার না করলেই ভালো হতো।

বহিষ্কারাদেশ মাথায় নিয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ফারুক আহমদ। বুধবার (১৩ মার্চ) সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন না করার জন্য। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। অন্য উপজেলায় যেসব বিএনপি নেতা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের বিষয়টিও হয়তো আমার মতোই ছিল। সুতরাং এভাবে গণবিহষ্কারের আগে কেন্দ্রের আরেকটু ভাবা উচিত ছিল।’

‘তাছাড়া আমরা তো দলের প্রতীক, ব্যানার, নাম বা পদ-পদবী ব্যবহার করে ভোটে নামিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নেমেছিলাম। কেন্দ্রীয় বিএনপি এক্ষেত্রে নীরব থাকতে পারত। বহিষ্কারের ফলে যেটা হয়েছে, স্থানীয় বিএনপির অনেকেই আমার সঙ্গে কাজ করার সাহস পায়নি। এটা আমার জন্য ছিল খুব বিব্রতকর,’— বলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নবনির্বাচিত এই চেয়ারম্যান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তৃণমূল বিএনপি পুনর্গঠনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সারাবাংলাকে বলেন, ‘হ্যাঁ, গণহারে বহিষ্কারের ফলে তৃণমূল বিএনপিতে কিছুটা হলেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় এটা করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। যে নির্বাচন আমরা সম্পূর্ণভাবে বর্জন করেছি, সেই নির্বাচনের যাওয়ার সিদ্ধান্ত যেসব তৃণমূল নেতা নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠিনক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কী করার ছিল! তবে, সাংগঠিন নিয়ম-কানুন মেয়ে তারা যদি আবার বিএনপিতে ফিরতে চায়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

এদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গণহারে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত মোট কত জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেই হিসাব দিতে পারছে না দফতর। গত ১০ দিন মেইল বার্তায় পাঠানো বহিষ্কারাদেশ থেকে ১১০ জনের নাম পাওয়া গেলেও এর আগে-পরে আরও অনেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ না। প্রতিদিন যে নামগুলো আসছে, সেগুলো আমরা মিডিয়াতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এর কোনো তালিকা আমরা সংরক্ষণ করছি না।’

উল্লেখ, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল, বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি, ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ করে বিএনপি। পাশাপাশি এই নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।

এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হচ্ছেন, তাদেরকে পর্যায়ক্রমে বহিষ্কার করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন