বিজ্ঞাপন

বিপাকে নওগাঁর আলু চাষিরা

January 22, 2018 | 9:49 am

আব্দুর রউফ পাভেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

নওগাঁ : চলতি মৌসুমে বড় ধরনের ফলন বিপর্যয়ে পড়েছেন নওগাঁর আলু চাষিরা। জমি থেকে আলু তোলা শুরু হলেও খুশি নন তারা। আলুর গায়ে দাগ আর পচন দেখা দেওয়ায় আলু চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে এবার ফলন কম হয়েছে।

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের কৃষক আলতাফ আলী বলেন, এ বছর কাঁঠি লাল ও হল্যান্ডের আলু চাষ করেছি। কিন্তু আলু তোলার পর আলুর গায়ে কালো দাগ আর পচন দেখা যাচ্ছে। আবার বিঘাপতি ৫০-৬০ মণ আলু হওয়ার কথা, কিন্তু ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৩৫ মণ।

নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর গ্রামের আলু চাষি আইজুর রহমান বলেন, এবছর আলুতে লাভ হবে না। বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মণ আশা করা হলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। একদিকে আলুর ফলন কম এবং আলুর গায়ে দাগ আর পচন দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে দামও পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এবার আলুতে লোকসান গুণতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মান্দার কুলিরহাট গ্রামের আলু চাষি আইজার আলী জানান, তিনি টাকা ধার নিয়ে আলু চাষ করছেন। কিন্তু আলুর গায়ে দাগ ও আলুর দাম কম থাকায় লাভ হবে না। বরং ধারের টাকা পরিশোধ কিভাবে করবে সেটি নিয়ে চিন্তায় আছেন।

গত মৌসুমে এ অঞ্চলের যেসব কৃষক কোল্ডস্টোরেজে আলু রেখেছিলেন। লোকসানের ফলে তাদের বেশিরভাগই আলু এবার বের করেনি। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আলু রাখার জন্য কৃষকদের দিতে হয় ৭’শ টাকা। কিন্তু এখন আলু নিতে গেলে দিতে হবে ১ হাজার টাকা। আর বর্তমানে বাজারে আলুর দাম প্রতি মণ ৬ থেকে ৭ টাকা।

বিজ্ঞাপন

নওগাঁর রাণীনগরের আলু ব্যবসায়ী সুলতানুর হক বলেন, এবার কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু তুললে ২৫০-৩০০ টাকা লোকসান গুনতে হবে। তাই ৭৫ মণ আলু এখনো কোল্ডস্টোরেজ থেকে তুলিনি।

মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, গত বছর জেলায় আলু চাষ হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। যেখানে এ বছর কমে হয়েছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে। একদিকে বন্যা কবলিত জমিতে আদ্রতা বেড়ে যাওয়া অন্যদিকে অতি বৃষ্টির কারণে এবারে ফলন বিপর্যয় হয়েছে। আর আলুর গায়ে দাগ ও পচন রোধে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/টিএম/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন