বিজ্ঞাপন

জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন দিতে গড়িমসির অভিযোগ

March 16, 2019 | 4:25 am

।। জাবি করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ ডিন, সিন্ডিকেট, শিক্ষাপর্ষদ ও অর্থ-কমিটির নির্বাচন দিতে উপাচার্য গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ। সোমবারের (১৮ই মার্চ) মধ্যে এসব পর্ষদে নির্বাচনের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা না করা হলে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করার পাশাপাশি গড়িমসির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতি ও সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যাযায়ের বৈঠকে উপাচার্য প্রতিশ্রুতি দেন আগামী ৬ মে এর পূর্বে ডিন, সিন্ডিকেট, শিক্ষাপর্ষদ ও অর্থ-কমিটির নির্বাচন দিবেন। কিন্তু আমাদেও নির্বাচন দেয়া কোনরূপ লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এমন অবস্থায় আগামী ১৮ মার্চ এর মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ পর্ষদ সমূহের নির্বাচনের লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ ও তফসিল ঘোষণা করা নাহলে উপাচার্য বিশ্বাস ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হবেন। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মতের শিক্ষকদের নিয়ে এই অগণতান্ত্রিক প্রশাসনকে অতিসত্বর রুখে দাঁড়াতে আমরা বদ্ধপরিকর।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করেই নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে উপাচার্য নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছেন। নজিরবিহীনভাবে নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ না করে চিকিৎসা ছুটি নিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিভিন্ন পাবলিক ফোরামে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা ও অন্যান্য অজুহাতে তিনি শিক্ষা-পর্ষদের সভাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক কাজে অনীহা দেখিয়ে চলেছেন। কথিত নিয়োগ বাণিজ্যসহ অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অতি-উৎসাহী এই উপাচার্য এমনকি আইন অনুষদের ডিন নিয়োগেও আইনের অবজ্ঞা করছেন।  আইনের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন কোন আত্মমর্যাদাশীল ব্যক্তি এরূপ নীতি বিবর্জিত কাজে লিপ্ত থাকতে পারেন বলে আমরা বিশ্বাস করিনা।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি সম্মিলিত ও শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘উপাচার্য ফারজানা ইসলাম অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে আছেন। তিনি কবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন সে বিষয়ে কোন কিছু জানানো হচ্ছে না। এদিকে সোমবারের মধ্যে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু না করা হলে রমজানের (পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ অন্যান্য ছুটি) দীর্ঘ ছুটিতে নির্বাচন অনেক পিছিয়ে যাবে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচন না দিতেই উপাচার্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে এমন গড়িমসি করছেন।’

উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ‘এই পর্ষদগুলোর নির্বাচনের বিষয়টি আমার এখতিয়ারের বাইরে। আমি রুটিন দায়িত্ব পালন করছি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণের কথা আছে। তিনি দায়িত্ব নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন