বিজ্ঞাপন

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট-ভিসা তৈরি প্রকল্পে বাড়ছে খরচ

January 22, 2018 | 2:06 pm

জোসনা জামান, স্টাফ করসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ভিসা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে। প্রথম দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর হলেও এখন সময় লাগছে ৯ বছর। একই সাথে বাড়ছে প্রকল্পের খরচও। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটির তৃতীয় দফা সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন হতে যাচ্ছে।

ফিংগার প্রিন্ট স্ক্যানার, ইলেকট্রনিক সিগনেচার প্যাড, পাসপোর্ট, ভিসা রিডার, সার্ভার, কম্পিউটার, বারকোড রিডার, কাস্টমাইজড সফটওয়্যার, সাইট রিনোভেশন, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সফর এবং যানবাহন সংগ্রহ করাসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ছে এই প্রকল্পের খরচ।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পের আওতায় এমআরপি ও এমআরভি চালুর ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ সহজ হচ্ছে। এটি বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। প্রকল্পের কার্যক্রমের ফলে একদিকে যেমন সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়ছে, অন্যদিকে বৈদেশিক রেমিটেন্স বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা(আইসিএও) এর নির্দেশনা অনুযায়ী মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু করার বাধ্যবাধকতা থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আইসিএও প্রণীত কারিগরি বৈশিষ্ট সম্বলিত মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট ও মেশিন পাঠযোগ্য ভিসা (এমআরভি) প্রবর্তন করে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার এমআরপি ও এমআরভি চালু করার জন্য ইন্ট্রোডাকশন অব মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০০৯ সালের ১৯ মার্চ একনেতে অনুমোদন দেয়। তখন মোট ২৮৩ কোটি টাকা খরচে ২০০৯ সালের জুলাই হতে ২০১৪ সালের জুনে বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়োছল। মেয়াদ অপরিবর্তিত রেখে প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ও ৭১০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। পরবর্তীতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকল্পের মেয়াদ ১ বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। এরপর পরিকল্পনা কমিশন ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া ৪ দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর ৬ মাস এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খরচ বাড়ানো হয়েছে।

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রকল্পের আওতায় ৬৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ৬৫টি বাংলাদেশ মিশন, ৭০টি এসবি/ডিএসবি অফিস, একটি ডাটা সেন্টার, একটি পার্সোনালইজেশন সেন্টার, একটি ডিজাস্টার রিকভারী সেন্টার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাসপোর্ট অফিস কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টারের মধ্যে ২৭ টি এবং ১৬টি আইসিপি ভিসা সেলের মধ্যে ৪টি চালু করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পে নতুনভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬টি বাংলাদেশ মিশনে এমআরপি ও এমআরভি চালুর প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁচ্ছে ৭১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন