March 20, 2019 | 8:25 pm
স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
ভারতের মাটিতে তিন বছর আগে রানার্স আপ হওয়ার বাংলাদেশ এবার সেমি ফাইনালে সেই একই প্রতিপক্ষের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। ৪-০ ব্যবধানে হারটা মোটেও ছোট বলার উপায় নেই। হারটা অনুমেয়ই ছিল। শুধু দেখার বিষয় ছিল কত ব্যবধানে হারে মেয়েরা। নাকি একটু হলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এক কথায় হ্যাভিয়েট দল। পুরো টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে ১৫টি গোল করা সেই ভারতকে সামাল দেয়া মোটেও সহজ ছিল মান্ডা-আঁখি-সাবিনাদের জন্য। বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে সফলতা নিয়ে সিনিয়র সাফে সেই ছোট বয়সের মেয়েদের মাঠে নামিয়ে দেয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন!
পুরো দলে একমাত্র সাবিনা খাতুন ছাড়া কেউই সিনিয়র দলের নেই। বেশিরভাগ ফুটবলারের বয়স ১৬ থেকে ১৮। এই বয়সের মেয়েদের নিয়েই এএফসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টসহ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নামিয়ে দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
এরাই একসময় জাতীয় দলের হয়ে সিনিয়র সাফও জিতে নিয়ে আসবে এমন স্বপ্ন ও আশার কথাই বলেন বাফুফের কর্মকর্তারা। কিন্তু বছরজুড়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া এই উঠতি বয়সের মেয়েদের জন্য সিনিয়র ফুটবলটা কতটা কষ্টের সেটা মিয়ানমারেও বোঝা গিয়েছে। সেখানেও ভারত-মিয়ানমারের কাছে ভরাডুবি হয়েছিল সাবিনাদের।
এবারও তাই হলো। গত পাঁচটি সাফে তিনবার সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়। এবার শেষ চার। অপেক্ষাটা বাড়ছে।
সঙ্গে বয়সভিত্তিক, ঘরোয়া ফুটবল-ক্লাব, ফুটসাল বা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ বলেন সব মিলিয়ে যার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ১১৪ ম্যাচে ৩২৪ সেই সাবিনা খাতুনের আক্ষেপের পর্বটা আরও বড় হচ্ছে। কারণ এই দলটা যখন বড় হবে তখনও এই সাতক্ষীরার ফুটবলারও বয়সে বড় হবে। ততদিনে থাকলেতো হয়ই।
তবে, প্রশ্ন উঠছে শুধুই কি এদের দিয়েই সিনিয়র ফুটবলে শুধু অংশ নেয়ার জন্য মাঠে নামাবে বাফুফে নাকি জাতীয় দল গঠনে নতুনভাবে ভাবতে হবে?
সারাবাংলা/জেএইচ