বিজ্ঞাপন

সুবর্ণচরের সেই রুহুল আমিনের জামিন

March 21, 2019 | 8:06 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলার আসামি মো. রুহুল আমিনকে এক বছরের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। গত সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। তবে জামিন সংক্রান্ত আদেশের কপিটি বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হাতে পেয়েছেন সাংবাদিকরা।

বিজ্ঞাপন

এ জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। তিনি জানান, আগামী ২৫ মার্চ চেম্বার আদালেত আবেদনটির শুনানি হতে পারে।

সুবর্ণচরে গণধর্ষণ: দ্রুত বিচারসহ ছয় দফা দাবি

রুহুল আমিনের জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশেক-ই-রসুল।

বিজ্ঞাপন

কোন যুক্তিতে আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেছেন যে, মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর)-এ আসামি রুহুল আমিনের নাম নেই। তা ছাড়া মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। এসব বিষয় তুলে ধরে জামিন চাওয়া হয়েছে।’

জামিন নিতে গিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বিভ্রান্ত করেছেন এমন অভিযোগ করে বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘জামিন আবেদনে উল্লেখ আছে এনএক্স-১৭ নম্বর কোর্টের কথা। অর্থাৎ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে আবেদনটি শুনানির জন্য ফাইল হয়েছে। ফলে আবেদনটির অনুলিপি গেছে ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরে। যেদিন জামিন হয় সেদিন আসলে আমরা বুঝতেই পারিনি কার জামিন হয়েছে। পরে দেখা যায় এনএক্স কোর্ট ১৪ থেকে রুহুল আমিন জামিন নিয়ে গেছে।’

আদালত আসামি রুহুল আমিনকে এক বছরের অন্তবর্তী কালীন জামিনের পাশাপাশি রুলও জারি করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় অভিযুক্ত আবেদনকারী মো. রুহুল আমিনের জামিন কেন বৃদ্ধি করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এছাড়া আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক (বহিষ্কৃত) রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এ পর্যন্ত সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ ১০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন