বিজ্ঞাপন

বিপ্লবীদের ফাঁসির মঞ্চে তারকেশ্বরের ম্যুরাল স্থাপনের দাবি

March 22, 2019 | 10:00 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে যে মঞ্চে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ফাঁসি হয়েছিল, সেখানে অগ্নিযুগের বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের ম্যুরাল স্থাপন ও নাম সংযোজনের দাবি এসেছে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ, চট্টগ্রাম। আগামী ১৮ এপ্রিল ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দিবসকে’ সামনে রেখে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দিবসটির আগেই ফাঁসির মঞ্চে ম্যুরাল ও নাম স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।

সমাবেশে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিঞ্চন ভৌমিক বলেন, ‘১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে দুই মহান বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসি দেয়া হয়। ঐতিহাসিক সেই ফাঁসির মঞ্চে মাস্টারদা’র ম্যুরাল ও নামফলক থাকলেও তারকেশ্বর দস্তিদারের কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। এক মহান বিপ্লবীর এই অবমূল্যায়নে আমরা ব্যথিত।’

সিঞ্চন জানান, তারকেশ্বর দস্তিদারের ম্যুরাল ও নামফলক স্থাপনের দাবিতে গত বছরের ২৬ অগাস্ট জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেয়া হয়। ১২ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করেও দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এরপরও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন বলে জানান সিঞ্চন ভৌমিক।

পরিষদের অর্থ সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘একই মঞ্চে দুজনের ফাঁসি হয়েছে। কিন্তু তারকেশ্বরের কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই। এভাবে চলতে থাকলে এই মহান বিপ্লবী বিস্মৃতির আড়ালে চলে যাবেন। ইতিহাস পথ হারাবে। আগামী যুব বিদ্রোহ দিবসের আগেই আমরা ফাঁসির মঞ্চে তারকেশ্বরের ম্যুরাল স্থাপন ও নামফলক বসানোর দাবি জানাচ্ছি।’

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন লেখক ও গবেষক জামাল উদ্দিন, শিল্পী দিপক আচার্য্য, শিক্ষক কৃষ্ণ শেখর দত্ত, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ রুনু মজুমদার, শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী ও বিপ্লবী পরিবারের সদস্য শিখা দস্তিদার।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী পরিবারের সদস্য ডা. তপন দাশগুপ্ত ও প্রবীর দাশগুপ্ত, পরিষদের মহিলা সম্পাদক রাজশ্রী মজুমদার, সহ-অর্থসম্পাদক রুবেল পাল, সজল সিকদার, শৈবাল সেন, আর.কে. মুহুরী, দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, সাবেক আইন কলেজ ভি.পি এড. রেবা বড়ুয়া, প্রদীপ খাস্তগীর।

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ’ হয়। এরপর ২২ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাধীন ছিল চট্টগ্রাম। ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ইংরেজ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন সূর্য সেন। তখন বিপ্লবী দলের নেতৃত্ব ন্যস্ত হয় তারকেশ্বরের হাতে। ১৯৩৩ সালের মে মাসে তারকেশ্বরও গ্রেফতার হন।

১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি মধ্যরাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সূর্য সেন ও বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। দুই মহান বিপ্লবীর মরদেহ মাঝ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

২০১২ সালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চটি সংস্কার করে সেখানে মাস্টারদার ম্যুরাল ও নামফলক স্থাপন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন