March 24, 2019 | 5:20 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: চলন্ত বাসে কোনো নারী যাত্রীকে একা পেলে শ্লীলতাহানীসহ ধর্ষণ করতো বাসের চালক ও হেলপারদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। অনেকসময় তারা ধর্ষণের ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ারও হুমকি দিত। এই চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানান, র্যাব-১-এর অধিনায়ক সারওয়ার বিন কাশেম।
রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কারওরান বাজারের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এ ঘটনায় র্যাব-১-এর সদস্যরা রাজধানীর আব্দুল্লাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহরণের চেষ্টার সময় আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহনের তিন অপহরণকারীকে আটক ও তাদের শিকার হওয়া এক নারীকে উদ্ধার করেছে র্যাব। আটক তিনজনের মধ্যে আছে চালক খলিল মিয়া (৩৩), সুপারভাইজার মেহেদী হাসান বাবু (২২) ও হেলপার রাকিব (১৯)।
ওই নারীর উদ্ধৃতি দিয়ে সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, ‘আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাসের হেলপার ওই নারীকে নবীনগর নামিয়ে দেওবার কথা বলে বাসে ওঠান। নওগাঁ থেকে দুমাস আগে ঢাকায় আসা ওই নারীর রাস্তাঘাট চেনা না থাকায় তাদের কথামতো বাসে ওঠেন। কিন্তু তারা কৌশলে ওই নারীকে আব্দুল্লাপুরের দিকে নিয়ে আসে। আবদুল্লাহপুরে এসে জানান সামনে আর যাবে না। সেখানেই তাদের নামতে হবে। অন্য যাত্রীদের সঙ্গে বাস থেকে নেমে যাযন ওই নারী। এলাকায় অপরিচিত হওয়ায় কিছুদূর গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ওই নারী। পরে বাসের হেলপাররা জোরকরে তাকে বাসে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওত পেতে থাকা র্যাবের গোয়েন্দারা তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন।’
সারোয়ার বিন কাসেম আরও বলেন, ‘তারা এর আগেও অনেক নারী যাত্রীকে ধর্ষণসহ যৌন হয়রানী করেছে। তাদের টার্গেট থাকে গ্রাম থেকে আসা কম বয়সী নারীরা। এসব নারীদেরকে বাসে তোলার পর কৌশলে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোরকরে ধর্ষণ করে। তারপর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় ধর্ষণ শেষে ভিকটিমের কাছে থেকে টাকা-পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেয় তারা। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ ভুক্তভোগী লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে।’
তবে, আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের ওই বাসটির কোনো কাগজপত্র এবং রুট পারমিট ছিল না। এমনকি চালকের কোনো লাইসেন্সও নেই বলে জানিয়েছেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এসএইচ/এমআই