বিজ্ঞাপন

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি ১৪ দলের

March 25, 2019 | 7:09 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৫টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে পুস্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে জোটের শীর্ষ নেতারা এই দাবি জা‌নান।

বিজ্ঞাপন

জোট নেতারা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা রুয়ান্ডার গণহত্যার চেয়েও ভয়াবহ। তাই ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে।’

আমাদের লড়াই শেষ হয়নি, এ লড়াই সারাজীবন চলবে দা‌বি করে বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতের সহায়তায় ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানি সেনারা। সেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলণ্ঠিত করেছেন। ৭২ এর সংবিধান ছিন্নভিন্ন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন। তাই তাদের দল ও দোসরদের এ দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।’

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানি শাসকরা ভীত হয়ে ২৫ মার্চ কালো রাতে গণহত্যা চালায়। আক্ষেপের সঙ্গে বলতে হয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বৃহত্তর গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ৩০ লাখ মানুষ হত্যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণহত্যা।’

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসক ও সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছেন। যারা এখনো পাকিস্তানের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করছে, সেই বিএনপি-জামায়াতকেও জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।’

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘৭১ এর ঘাতকদের বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। চিরতরে রাজনীতি থেকে তাদের খতম করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি খতম না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। আজ গণহত্যার এ দিবসে তাদের খতম করার শপথ নিতে হবে।’

সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘সত্য ইতিহাস জানলে বঙ্গবন্ধুকে জানা যাবে। ২৫ মার্চের কথা জানা যাবে। এখনই সময় সঠিক ইতিহাস জানার, তাই অধ্যয়ন করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে কোনোদিন ক্ষমতা ও বিরোধী দলে আসতে না পারে, গণহত্যার এ দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায়ও থাকবো, বিরোধী দলেও থাকবো।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএমএইচ/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন