বিজ্ঞাপন

যাত্রীর নৃশংসতার শিকার অটোরিকশা চালক

January 23, 2018 | 6:14 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: লিটন ও জসিম নামে দুই যাত্রীর নৃশংসতার শিকার হয়েছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ইসকেন্দার হাওলাদার। ওই দুই যাত্রী  অটোরিকশা চালকের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বসূলভ’ আচরণের ছলে চায়ের নামে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন। ঘটনাটি ঘটে ১৩ জানুয়ারি রাতে।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-কমিশনার এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বাণিজ্যমেলা থেকে লিটন ও জসিম নামে দুই যাত্রী ইসকেন্দারের সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করেন। তারা প্রথমে ফার্মগেটে আসেন। সেখানে বন্ধুত্ব গড়ার নামে আরও দুই সহযোগীকে নিয়ে ড্রাইভারকে চা খাওয়ায়। সেই চায়ের মধ্যে কৌশলে বিষ মিশিয়ে দেয়। এরপর ইসকেন্দার অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়ার নাম করে অটোরিকশাটি নিয়ে আসাদ গেটের দিকে রওয়ানা হয়। ন্যাম ভবন ও সেচ ভবনের মাঝখানের রাস্তার পাশে ড্রেনে ইসকেন্দারকে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পরদিন সকালে পুলিশ ইসকেন্দারের লাশ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। পুলিশ প্রথমে ইসকেন্দার অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে বলে মনে করেছিল। পরে পুলিশ জানতে পারে ইসকেন্দার একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। এরপর এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। মামলার ক্লু উদ্ধারে মাঠে নামে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তের পর গত ২২ জানুয়ারি রাতে লিটন ও জসিমকে গ্রেফতার করে। লিটন ও জসিম দুজনই ডিবির কাছে ইসকেন্দারকে চায়ের মধ্যে বিষ মিশিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’

ভুয়া বিআরটিএ অফিস থেকে ৪ জন গ্রেফতার: এদিকে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি(বিআরটিএ) ভুয়া অফিসের সন্ধান পেয়েছে ডিবি। এ প্রসঙ্গে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ভুয়া বিআরটিএ অফিস বানিয়ে একটি চক্র কাগজপত্র বানিয়ে আসছিলেন। এই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (পশ্চিম) একটি দল। এরা হলেন মানিক, সিদ্দিকুর রহমান, মোস্তফা ও মামুন। এ সময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি কম্পিউটার, জাল জালিয়াতির কাজগপত্র এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিআরটিএ পরিচালকের সিলমোহরও উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে গ্রেফতাররা জানায়, তারা সচিবালয়ের পাশে একটি ভবনে নকল বিআরটিএ অফিস বানিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাই ও অবৈধ যানবাহনের জাল কাগজপত্র, স্মার্ট কার্ড ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট সরবরাহ করত।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন