বিজ্ঞাপন

বাজেট কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না: অর্থমন্ত্রী

March 29, 2019 | 4:02 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাজেট প্রণয়নে দেশের সব মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাজেট তৈরি করা হবে। কারও ওপর বাজেট চাপিয়ে দেওয়া হবে না। আর হাওর অঞ্চলসহ পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে সব মন্ত্রণালয় বিভাগের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ছাড়াও সাবেক অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে উন্নয়ন প্রকল্পকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। এর মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের, অন্যটি হচ্ছে দীর্ঘ সময়েন। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

জেলা বাজেটের প্রসঙ্গ টেনে মুস্তফা কামাল বলেন, বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় রেভিনিউ। সুতরাং যেখানে আয় হবে, সেখানে ব্যয়ও থাকবে। জেলায় বাজেট দেওয়া হয়, সেখান থেকে আয়ও আসতে হবে। সব জেলা থেকে তো আয় সমান হয় না। ফলে জেলা বাজেট দিলে একটা কমপিটিশন শুরু হবে। এ ধারণার প্রশংসা করলেও বাস্তবায়নের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন বলেন, এখন উপসচিব কর্মকর্তাদেরকে সরকারিভাবে গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। তাহলে প্রকল্পে পরিচালকদের (পিডি) কেন আলাদাভাবে গাড়ি দেওয়া হয়? আমার মনে হয়, আগামী বাজেটে পিডিদের গাড়ি দেওয়া অপশনটি বন্ধ করা উচিত।

সাবেক অর্থসচিব মুসলিম চেীধুরী বলেন, প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নে বিস্তর ফারাক রয়েছে। দেখা যায়, নতুন করে সংশোধন করার সময় শেষ হয়ে যায়, তবু বাস্তবায়ন হয় না। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া চাই। কারণ এতে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য অর্জিত হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন বিকেন্দ্রীকরণ করার নামে গ্রামে-গঞ্জে অবকাঠামো সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এসব অবকাঠামো থেকে মানুষ সুবিধা নেওয়ার জন্য আসবে। কিন্তু আসলে তা হচ্ছে না। এজন্য ডিজিটালাইজেশনের দিকে যেতে হবে। সুবিধা নেওয়ার জন্য মানুষ আসেবে না, মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন