বিজ্ঞাপন

‘বিজিএমইএকে আমি ডিফেনসিভ হতে দেবো না’

April 3, 2019 | 7:53 am

তৈরি পোশাক খাত দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত হলেও গত কয়েক বছর ধরে এই খাতে বিভিন্ন ধরনের ‘অস্থিরতা’ কাজ করছে। ছোট-বড় অনেক পোশাক কারখানা বন্ধই হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, ‘ভাবমূর্তি’র কারণে বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে দামও মিলছে কম। দরকষাকষিতে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রচলিত বাজারের বাইরে বাংলাদেশের পোশাকের গন্তব্যও বাড়ছে না।

বিজ্ঞাপন

তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক খাত সংশ্লিষ্ট এসব বিষয়ের প্রতিটি নিয়েই কাজ করতে চান। পোশাক কারখানাগুলোর সংস্কারে যেমন তিনি মনোযোগী হতে চান, তেমনি অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারের মাধ্যমে এই খাতের ভাবমূর্তি উন্নয়নসহ নতুন বাজারও ধরতে চান তিনি। বিজিএমইএ’কে নিয়ে তিনি কাজ করতে চান দীর্ঘ মেয়াদে।

ব্যবসায়ী এই নেতা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী। ৬ এপ্রিলের বিজিএমইএ নির্বাচনে রুবানার নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ফোরামের স্লোগান ‘এক শিল্প এক দেশ এক লড়াই’। নির্বাচন, পোশাক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সারাবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন রুবানা হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এমদাদুল হক তুহিন। ছবি তুলেছেন সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান

সারাবাংলা: নির্বাচিত হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা বন্ধ হতে বসা কারখানাগুলো সচল করতে কোনো উদ্যোগ নেবেন কি?

বিজ্ঞাপন

রুবানা হক: কোনো উপায় না পেয়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এসব বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা সচল করতে আমরা বিভিন্ন ধাপে উদ্যোগ নেব। যারা ‘অসুস্থ’, তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যারা ‘মৃতপ্রায়’ তাদেরও বাঁচিয়ে তুলতে হবে। আর যারা বেঁচে থাকতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে, তাদের টেকসই করতে হবে। অক্সিজেন দেওয়া, লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে আনা ও প্রতিদিনই নিয়মিত ব্যায়াম করানো— এই তিনভাবেই কাজটি হতে পারে। এছাড়া ঢাকা থেকে স্থানান্তরিত হতে গিয়ে যেসব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, নতুন স্থানে কারখানা করার ক্ষেত্রে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না— এসব ক্ষেত্রেও আমরা সবসময় চাপ রাখব। কারণ অবকাঠামোর সঙ্গে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন সূচক ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সম্পৃক্ত। আর এই সূচকটির উন্নয়নে সরকারেরও বিশেষ লক্ষ্য রয়েছে।

সারাবাংলা: কারখানাগুলোকে বাঁচাতে ঠিক কী ধরনের উদ্যোগ নিতে চান?

রুবানা হক: আমরা থোক বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করব। একটি ইমার্জেন্সি ফান্ড আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। ছোট কারখানাগুলোর তো সহায়তা দরকারই, এখন কিন্তু মোটামুটি বড় কারখানাগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রথম কথাই থাকবে, সরকারের পক্ষ থেকে যেন ক্যাশ ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হয়। সামনে ঈদ আছে, অনেকেই কিন্তু তাদের উৎপাদন চালিয়ে নিতে পারবে না। শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে, কিন্তু কোনো ক্রেতাই পোশাকের দাম বাড়ায়নি। ট্যাক্স হলিডে ৭ থেকে ১০ শতাংশ হওয়া উচিত। পোশাক খাতে কোনো ভ্যাট থাকাই উচিত নয়। সবমিলিয়ে আমাদের একটি থোক বরাদ্দ খুব জরুরি। এছাড়া ব্যবসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ‘এক্সিট পলিসি’ও দরকার। সেটি নিয়েও কাজ করতে চাই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের দাম কমছে। দরকষাকষির ক্ষেত্রে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি?

রুবানা হক: দাম পেতে ভাবমূর্তি উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে জনসংযোগ (পিআর) আরও উন্নত করতে হবে, লবিস্ট নিয়োগ করা হবে। ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্য আমরা এরই মধ্যে লন্ডনের হাইকমিশনার সঙ্গে কথা বলেছি। যেন লন্ডন ও সুইডেনে অন্তত দু’টি পিআর ফার্ম নিয়োগ করতে পারি। এক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরও আর একটু উদ্যোগী হতে হবে। যেমন— যখনই আমাদের নামে নেতিবাচক কিছু লেখা হয়, তখনই আমরা যেন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারি। অনেক সময় আমরা সেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেরি করে ফেলি। সেই দেরিটা যেন না হয়। নিজেদের ভালো গল্পগুলো বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরব আমরা। বলতে না পারা ভালো ভালো গল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের অনেক ভালো ভালো গল্প আছে, গল্পগুলোকে গুছিয়ে আনার একটা জায়গা তৈরি করতে হবে। সেটা সোস্যাল মিডিয়া বা অন্য কিছু হতে পারে। কিন্তু এগুলো তুলে ধরতে হবে। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে আরও বেশি জোর দিতে হবে।

সারাবাংলা: কেবল ভাবমূর্তি আর পিআর দিয়েই কি দাম বাড়বে? আমাদের কি আরও সক্ষমতার প্রয়োজন রয়েছে?

রুবানা হক: আমরা তো আসলে সক্ষম। পিআর জরুরি। কারণ, ওরা আমাদের পিআর দিয়েই ঘায়েল করে। ইউ আর নট কমপ্লায়েন্ট, তোমাদের এত অ্যাবিউজ— এভাবে আমাদের দেশ নিয়ে যে ধারণা, সেটা সবসময় আমাদের বিরুদ্ধে যায়। আবার নিজেদের মধ্যে আমরা অনেক সময় অসম প্রতিযোগিতায় মেতে উঠি। একটি ফর্মুলা মেনে এটাকে আদর্শ মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। আমাদের একজন পরিচালক আদনান চারটি কারখানা এক করে ফেলেছে। চারটি কারখানার জন্য একসঙ্গে একই সিএম (কস্ট অব মেকিং, উৎপাদন খরচ) কোট করে। আমরা যদি বেজ সিএমটা সেট করতে পারি, তাহলে কেউ আসলে প্রতারিত হব না। দরকষাকাষির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ ব্যবসায়ীই বায়িং হাউজের ওপর নির্ভরশীল। তাতে একটা বড় পার্সেন্টেজ চলে যায়। আমরা নিজেরা কেন দরকষাকাষি করছি না? নিজেদের নেগোসিয়েশন নিজেদেরই করতে হবে। বিজিএমইএ’তে আমরা এমন কোনো জায়গা তৈরি করতে পারি, যেখান থেকে সদস্যদের মার্কেটিংয়ে আমরা সাহায্য করতে পারব। নির্বাচিত হলে এ বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্যোগ নেব।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে কোনো উদ্যোগ নেবেন কি?

রুবানা হক: আমেরিকা কোনোদিনই আমাদের জিএসপি সুবিধা দিতে আগ্রহী ছিল না। এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এটা মানবাধিকার বা অন্যান্য কোনো ইস্যুর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ব্যাপারটা রাজনৈতিক। তারা টিকফা করে কলম্বিয়ার সঙ্গে, যেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। আর আমাদের সঙ্গে গল্প আওড়ায় হিউম্যান রাইটস অ্যাবিউজ নিয়ে। নিজেদের ট্রেড ইউনিয়ন নেই, কিন্তু আমাদের ওপর ট্রেড ইউনিয়ন চাপায়। হ্যাঁ, আমেরিকায় যদি জিএসপি সুবিধা ফেরানো যায়, অন্যান্য খাত উপকৃত হবে। সরকার জিএসপি সুবিধা ফেরাতে খুবই উদ্যোগী। আমরাও যথাসম্ভব সাহায্য করব। কিন্তু গল্পের আওয়াজ বদলাতে হবে আমাদের। সারাক্ষণই আমরা ডিফেনসিভ অবস্থায় থাকি। কিন্তু বিজিএমইএকে আমি ডিফেনসিভ হতে দেবো না। আমাদের যা আছে, তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করব।

সারাবাংলা: বাজার বহুমুখীকরণে কী পদক্ষেপ নেবেন?

রুবানা হক: বহুবাজারে আমরা এখনো কাজই করি না। ব্রাজিল, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে তেমন কোনো কাজই হয়নি। আমরা শক্ত করে এই বাজার ধরতে চাই। ব্রাজিল বিভিন্ন দেশ থেকে ১৭৯৪ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কেনে মাত্র ১৫৯ মিলিয়ন। রাশিয়া কেনে ৭ হাজার মিলিয়ন ডলারের পোশাক, বাংলাদেশ থেকে নেয় মাত্র ৪২৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। চীনে শূন্য শুল্ক। কিন্তু তারা কেনে মাত্র ৪০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক। অনেক বাজার আছে, যেখানে আমরা সহজে কাজ করতে পারি। এসব বাজারে প্রবেশ করতে অর্থনৈতিক কূটনীতি বাড়াতে হবে। এফটিএ নেগোসিয়শনে যেতে হবে। বিদেশি দূতাবাসকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। বেক্সিট হবে কি হবে না, তা আমরা এখনো জানি না। যদি সত্যি সত্যি বেক্সিট হয়, তাহলে ব্রিটেনের সঙ্গে নতুন গল্পে বসতে হবে। বহু আগে ইমপেরিয়াল প্রেফারেন্স বলে একটা টার্ম ছিল। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ইমপেরিয়াল প্রেফারেন্সের মতো কিছু একটা বের করতে হবে।

সারাবাংলা: নতুন মজুরি কাঠামোর ‘গ্রেডিং সমস্যার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বহু শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছে। তাদের পুনঃবহালে কোনো ভাবনা আছে কি?

রুবানা হক: আমি চেষ্টা করেছিলাম একটি কারখানা নিয়ে কথা বলতে। তখন ভিডিওসহ আমাকে প্রমাণ দেখানো হয়েছে। ওরা ভাঙচুর করছিল। তবে কতজন চাকরিচ্যুত হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান কিন্তু আমরা জানি না। চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কতজন ভাঙচুরে জড়িত, তা বলা মুশকিল। আমার নিজের কারখানায় ভাঙচুর হয়েছে। দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে আমি শ্রমিকদের বুঝিয়েছি। যদিও সব মানদণ্ড মেনে সরকার ঘোষিত সময়ের আগেই আমার কারখানায় মজুরি সমন্বয় করা হয়েছিল। আর আমার টার্গেট আমি নই। এত বড় একটি খাত কেবল ভাবমূর্তির জন্য মার খাচ্ছে, এটি হতে দেবো না। নির্বাচিত হলে যেভাবে কাজ করার, সবই করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আর এই যে সাত হাজার বা চার হাজার শ্রমিকের কথা বলা হচ্ছে— সংখ্যা যেটাই হোক, শাস্তি দেওয়ার জন্য হলেও আমি চাই পরিসংখ্যান যেন পরিচ্ছন্ন থাকে। একজন শ্রমিকও যদি চাকরি হারিয়ে থাকেন, আমাদের ডাটাবেজে থাকতে হবে যে এই শ্রমিকটি এই কারণে চাকরি হারিয়েছেন। না হলে জুন মাসের আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে (আইএলসি) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আমাদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। প্রত্যেক বছরই কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি অপ্রস্তুত হয়ে ফিরে আসি। এই জায়গাটা রোধ করতে চাই। তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যত্ন নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে চাই। কারণ ওরা এই তথ্য-উপাত্ত নিয়েই কথা বলে, পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সেটা আমাদের স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো শ্রমিকের সঙ্গে মিড ম্যানেজমেন্টের কোনো কর্মীর সমস্যা থাকলে সে তালিকায় ওই শ্রমিকের নাম ঢুকিয়ে দেয়। আমার সময়ে আমি এটা হতে দেবো না। অহেতুক কোনো শ্রমিকের পেটে লাথি মারা কোনোভাবেই ঠিক নয়। তবে শ্রমিকরা সত্যি দোষী হয়ে থাকলে তাদের শাস্তিও পাওয়া উচিত। তবে স্বচ্ছতার জায়গা ঠিক রেখে তাদের চাকরিচ্যুত করা যাবে, ঢালাও ছাঁটাই কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সারাবাংলা: চকবাজার ও বনানীর অগ্নিকাণ্ডের পর কোনো কোনো ক্রেতা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সময় বাড়াতে পরামর্শ দিচ্ছে বলে আপনার বক্তব্যে জানতে পেরেছি। অগ্নিনিরাপত্তায় পোশাক কারখানায় আরও কিছু করার আছে কি?

রুবানা হক: অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সময় বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের অধীনে যে কারখানা, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আমার চিন্তা বাকিদের নিয়ে। চার হাজার কারখানার মধ্যে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স মিলিয়ে ১৮শ থেকে ১৯শ কারখানার সংস্কার হয়েছে। বাকিগুলোর কী হবে? ছোট কারখানাগুলোর সংস্কারে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এর জন্য কাজ করছে রিমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল বা সংস্কারকাজ সমন্নয় সেল (আরসিসি)। তাদের কাজকে আরও বেগবান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মালিকদেরও দায়বদ্ধতা আছে। বড় একজন ম্যানুফ্যাকচারার যদি পাঁচটি ছোট কারখানার দায়িত্ব নেন, তাহলেই কিন্তু এক হাজার কারখানা নিরাপদ হয়ে যায়। এভাবে একজনকে আরেকজনের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ সাব-কন্ট্রাক্ট না করালে কিন্তু আমরা কেউ প্রফিট করতে পারব না। কিন্তু কেউ সাহস করে এটি বলি না। তাই আমার পরিকল্পনা, নির্বাচিত হলে ছোট কারখানাগুলোর সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ নেব। কারণ আমাদের ইম্পর্ট্যান্ট ও ইমিডিয়েটের পার্থক্য বুঝতে হবে। আমি বারবার বলি, আমরা অনেক সময় ইমিডিয়েট কাজটা করতে গিয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কাজটা করি না। বিজিএমইএ সারাক্ষণ ফায়ার ফাইটিং মুডে থাকে। আমাদের চিন্তা করতে হয়— এই কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ওই কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নামছে। এটার চাপে ইম্পর্ট্যান্ট ভিশন সেটিংয়ের জায়গাটা থেকে আমরা নড়ে যাই। আমাদের সেই ভিশন নিয়েও কাজ করতে হবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন