বিজ্ঞাপন

দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

April 7, 2019 | 9:22 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রীর শরীরে আগুন লাগিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীকে দেখতে এসে মন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। এই ঘটনার নিন্দা জানাই। যারা দোষী তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি রোববার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে আসেন। এ সময় তিনি ওই ছাত্রীর পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: অভিযুক্ত সেই অধ্যক্ষ বরখাস্ত

বিজ্ঞাপন

শনিবার পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই শিক্ষার্থীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করা হয়েছিল। এর প্রতিশোধ হিসেবে শরীরে আগুন ধরিয়ে ওই ছাত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে এরইমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ইউনিট কাজ করছে।

আরও পড়ুন: বোরখা পরা ৪ জনকে খুঁজছে পুলিশ

বিজ্ঞাপন

এর আগে, রোববার সকালে ঘটনাটির তদন্ত করতে আসেন চট্রগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন ও ক্রাইম) আবুল ফয়েজ। তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, অগ্নিদগ্ধের ঘটনাটি পূর্বের ঘটনার জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা অথবা হত্যার চেষ্টা হতে পারে। দুটি বিষয় মাথায় রেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান ওই শিক্ষার্থী। সেখানে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে সেই শিক্ষার্থীর

ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, পরীক্ষার হল থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বোরখা পরা চারজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দেয়। ওই শিক্ষার্থী মামলা তুলতে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

গত ২৭ মার্চ যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর মায়ের করা মামলায় সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করা হয়।

সারাবাংলা/এসএসআর/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন