বিজ্ঞাপন

এলাকার সমস্যা নিয়ে সচিবালয়ে মাশরাফি

April 9, 2019 | 10:07 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

নির্বাচনি এলাকার নদীভাঙন সমস্যা নিয়ে নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা সচিবালয়ে যান মঙ্গলবার।

বিজ্ঞাপন

এসময় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। নড়াইলের মধুমতি ও চিত্রা নদীর ড্রেজিং এবং মধুমতি নদীর তিনটি পয়েন্টে ভাঙনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপমন্ত্রীকে জানান মাশরাফি।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সারাবাংলাকে জানান, ‘নিজ নির্বাচনি এলাকার সমস্যার ব্যাপারে পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ে আজ আসেন মাশরাফি। মধুমতি নদীর নড়াইলের লোহাগড়ার তিনটি পয়েন্ট শিয়ারপুর, মল্লিকপুর, ঘাঘাতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মধুমতি ও চিত্রা নদীর ড্রেজিং এবং নদীর পাড় সংরক্ষণ করে সৈন্দর্যবর্ধন করার ব্যাপারে কথা বলেন তিনি। উপমন্ত্রী বলেছেন, নদীর ড্রেজিং করা সময়সাপেক্ষ ও স্টাডির বিষয় রয়েছে।’

এ সময় উপমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজিকে উপমন্ত্রীর কক্ষে ফোন করে ডেকে পাঠান। উপমন্ত্রী ডিজিকে মধুমতির তিনটি পয়েন্টে ভাঙনরোধে দ্রুত আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এছাড়া মাশরাফি অন্যান্য যেসব সমস্যা উল্লেখ করেছেন, সে ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় স্টাডি ও পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।’

বিজ্ঞাপন

জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও জানান, ‘উপমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজিকে উদ্দেশে করে বলেন, মাশরাফি রাজনীতিতে নতুন কিন্তু মেধাবী। এ রকম মেধাবী মানুষ যেন রাজনীতি বিমুখ না হোন। মাশরাফিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুরুত্ব দিয়ে সহযোগিতা করবেন।’

উপমন্ত্রীর পদক্ষেপে মাশরাফি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বলেও জানান উপমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।

মাশরাফি সচিবালয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রীর কক্ষের সামনে ভিড় করেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বিজ্ঞাপন

আবু নাছের বলেন, সচিবালয়ে সাধারণত অনেক ভিআইপি আসেন। কখনোই অফিসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী, পিয়ন, গানম্যান; সবাই একসঙ্গে মন্ত্রীর রুমের সামনে দাঁড়ায় না। এটা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তবে মাশরাফি আসার পরে অফিসের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী মাশরাফিকে দেখতে উপমন্ত্রীর রুমের সামনে বিশাল লাইন করে দাঁড়ান। মাশরাফি বের হয়ে যাওয়ার সময় কেউ ছবি তুলেছেন, কেউ করমর্দন করেছেন।

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন