বিজ্ঞাপন

বাড়ির পথে নুসরাত

April 11, 2019 | 12:57 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পাঁচদিন পর বাড়ি ফিরছে নুসরাত। তবে জীবিত নয়, তার পুড়ে যাওয়া শরীরটাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনেরা।

বিজ্ঞাপন

বাঁচানো গেলো না নুসরাতকে

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে নুসরাত জাহান রাফির মরদেহ তার বাবা এ কে এম ‍মুসার কাছে বুঝিয়ে দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক প্রদীপ বিশ্বাস।

বিজ্ঞাপন

গত পাঁচদিন এই ইউনিটেই চিকিৎসাধীন ছিল নুসরাত। তাকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন এখানকার চিকিৎসকরা। তবে সব চেষ্টাকে পেছনে ফেলে বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় মারা যায় সে। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে ৭৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিল নুসরাত। রক্ত ও লাং ইনফেকশনের কারণে কার্ডিও রেসপাইরেটরি ফেইলিয়র হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

সকালে ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেনীর সোনাগাজীর পথে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

নুসরাতের বাবা এ কে এম ‍মুসা জানান, সময়মতো পৌঁছতে পারলে আসরের নামাযের পরেই জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাদীর কবরের পাশে নুসরাতকে সমাহিত করা হবে। সেখানে স্বজনরা তার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ-উদ-দৌলা নুসরাতকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় নুসরাতের মা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে শনিবার (৬ এপ্রিল) ওই মাদরাসার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে অধ্যক্ষের অনুসারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নুসরাতের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সারাবাংলা/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন