বিজ্ঞাপন

নুসরাতের অপেক্ষায় শূন্য বাড়ি

April 11, 2019 | 3:06 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ফেনী: ছয়দিন আগে পরীক্ষা দিতে মাদরাসার উদ্দেশে ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নুসরাত জাহান রাফি। ছয়দিন পর সেই ভাইয়ের সঙ্গেই বাড়ি ফিরছে সে, তবে এবার ফিরছে পারিবারিক কবরস্থানে দাদীর পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেনীর সোনাগাজীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে নুসরাতকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। এখন সেই অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় সময় গুনছেন গ্রামের বাড়িতে থাকা নুসরাতের স্বজনরা। পুরো এলাকাজুড়ে শোকের আবহ।

সকালে সোনাগাজী পৌর এলাকার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামে নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে রয়েছেন বৃদ্ধ দাদা মাওলানা মোশারফ হোসেন এবং খালা সকিনা খাতুন। নুসরাতের মৃত্যু সংবাদ শুনে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন দাদা।

বিজ্ঞাপন

বাড়ির পথে নুসরাত

কাঁদতে কাঁদতে মাওলানা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নাতিন আমার অনেক কষ্ট করেছে। আজ ৫টা দিন কষ্ট করে আল্লাহর কাছে চলে গেছে। নাতিনকে আল্লাহ জানাত নসিব করুক। আমার নাতিনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

শুধু স্বজনরাই নয়, নুসরাতকে এক নজর দেখতে আর পরিবারটির সমব্যাথী হতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন প্রতিবেশিরা। বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনরাও।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুর খবর পেয়ে সবারই চোখে পানি। সবার মুখে মুখে ফিরছে অপরাধীদের বিচারের দাবি।

বাঁচানো গেলো না নুসরাতকে

যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে নুসরাতের বাড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।

এদিকে নুসরাতকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলাটি এখন থেকে হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন ফেনী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন