দেশের স্বার্থে রাজনীতির মাঠেই থাকবো সারা জীবন: জি এম কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করবো। দেশের স্বার্থে রাজনীতির মাঠেই থাকবো সারাজীবন। তবে দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যতদিন বেঁচে আছেন তিনিই আমাদের নেতা। কিন্তু উত্তারাঞ্চলের মানুষ মনে করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর পরিবার এবং রংপুর থেকেই হতে হবে। কারণ, দেশের মানুষ ও পার্টির নেতা-কর্মীরা এমন নেতৃত্বই আশা করেন।’

উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জি এম কাদের বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের মানুষ মনে করে জাতীয় পার্টি তাদের পক্ষের সবচেয়ে সোচ্চার রাজনৈতিক মঞ্চ। আর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে অবহেলিত উত্তারাঞ্চলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা কৃতজ্ঞচিত্তেই মনে রেখেছে সেই এলাকার কোটি মানুষ। সাধারণ মানুষ মনে করে ঐতিহাসিকভাবেই নেতৃত্বে রক্তের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বংশ পরম্পরায় জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব আশা করেন তারা। কারণ, উত্তরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা হচ্ছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির ভালোমন্দের সঙ্গে তাদের জীবন জড়িত। তাই উত্তরাঞ্চলের মানুষ চায় জাতীয় পাটির নেতৃত্ব উত্তর বঙ্গ থেকেই আসুক।’

জাতীয় পার্টির আগামী দিনের রাজনীতি প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, অবশ্যই জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং দেশের স্বার্থেই জাতীয় পার্টি বেঁচে থাকবে। কারন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিবাচক রাজনীতির নিয়ামক শক্তি। তাই জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সংগঠিত করতেও আহবান জানান। সকল বিভেদ ভুলে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে দেশ ও দলের স্বার্থেই।

জি এম কাদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সারাদেশের সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদের সামনে সত্য প্রমাণিত হয়নি। নৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখতে পার্টির নেতা-কর্মী, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, জয়নাল আবেদীন, সোলায়মান সামি, তাছলিমা আক্তার, ঝোটন দত্ত, সরদার নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন তোতা, নুরুল ইসলাম ও জিসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই