বিজ্ঞাপন

‘যারা ১৭ এপ্রিলের ইতিহাস মানে না, তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করে’

April 17, 2019 | 10:44 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মেহেরপুর: আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, যারা ১৭ এপ্রিলের ইতিহাস মানে না, মুজিবনগর সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় না, তারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ এপ্রিল) মেহেরপুরে আম্রকাননে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের পাদদেশে শেখ হাসিনা মঞ্চের জনসভায় মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায়  হানিফ এসব কথা বলেন।

মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে যে সরকার গঠন হয়, সেটি বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এই সরকারের অধীনেই সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, শফিউল্লাহসহ সব সেক্টর কমান্ডাররা চাকরি করেছিলেন। সেই সরকারের প্রতি যারা শ্রদ্ধা জানায় না,সেই ইতিহাসকে যারা স্মরণ করে না, তারা সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।’

বিজ্ঞাপন

জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ‘তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত  করেছেন জিয়াউর রহমান।’

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এ দেশের যা কিছু অর্জন তার সবকিছুই এসেছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাছাড়া কারও কোনো অর্জন নেই। যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসতো তবে আন্তর্জাতিকভাবে মডেল দেশ হিসেবে রুপ লাভ করতো না। বিএনপি সরকার দেশ ধ্বংসের রাজনীতি করে। অন্যদিকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দেশ রক্ষার কথা বলে। মানুষকে ভালো রাখার রাজনীতি করে।’

আমু আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ও সম্মানিত হচ্ছে। শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষার সম্মানে ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে । বাঙালি জাতিকে আজ বিশ্বের দরবারে সমাদৃত করেছে।’

জনসভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘খুনি মোশতাক স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার জন্য এই মুজিবনগরে বসে পাকিস্তানের সঙ্গে লুজ কনফেডারেশন গঠন করে পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। এই সময় তার সহযোগী ছিল জিয়াউর রহমান। তাদের মরণোত্তর বিচার করা হবে এ সরকারের আমলেই ।’

বিজ্ঞাপন

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী  ও মেহেরপুর-১ আসনের এমপি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের উন্নয়নের কারণেই দল-মত নির্বিশেষে সবাই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করেছে।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক গুণ এখন বিশ্ব স্বীকৃত। তাকে মাদার অব হিউম্যানিটিজ বলা হয়। সরকার পরিচালনায় তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহীদুজ্জামান খোকন, সাইফুজ্জামান শিখর এমপি সহ অন্যরা।

এর আগে, দিবসটি উপলক্ষে ভোরে সূর্যোদয়ের সময়ে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি। আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ স্থলে আসেন।

সকাল ১০টায় মঞ্চে গীতিনাট্য ‘বদলে যাও, বদলে দাও’ অনুষ্ঠিত হয়। মুজিবনগর সরকারে যারা গার্ড অব অনার দিয়েছিলেন তাদের তিন জনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।

সারাবাংলা/এমএইচ/এসবি

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন