বিজ্ঞাপন

সিটিকে হতভম্ব করে সেমিতে টটেনহাম

April 18, 2019 | 3:15 am

স্পোর্টস ডেস্ক

কী শিরোনাম দেওয়া যায় তাই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব হওয়ার সুযোগ আছে এই ম্যাচে। এক গোলের সুখস্মৃতি নিয়ে ইতিহাদে আসা স্পার্সরাই প্রথমে হতভম্ব করে দিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। ম্যাচের ১১ মিনিটে মাথায় চারটা গোল! দুই দলই সমান দু‘বার করে জালের সন্ধান পেয়েছে। ২১ মিনিটের মাথায় সিটির লিড। কিন্তু তখনও ম্যাচের ফল বের হয়নি।

সেমিতে পা রাখতে হলে সিটিকে করতে হবে আরও একটি গোল। সেই প্রত্যাবর্তনের গল্পটাও লিখলো সিটি দুর্দান্তভাবেই। কিন্তু নাহ! তথাকথিত ‘চোকার্সদের’ সেটা হতে দেয়নি টটেনহাম। উল্টো সিটিকে হতভম্ব করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালে নাম লেখালো স্পার্সরা।

বিজ্ঞাপন

শুরুতেই বলি- ৭ গোলের এই ম্যাচ যে কতটা রঙ পাল্টেছে সেটা স্কোরলাইন দেখে বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় নেই।

যে ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিট দেখবে না সে হয়তো স্কোরলাইন দেখে অবাকই হবেন। কেননা এই সময়ের মধ্যে ম্যাচের রঙ বদলেছে পাঁচবার। হোম ম্যাচে এক গোলের সুবিধা নিয়ে ইতিহাদে এসেছে টটেনহাম। ইনজুরিতে নেই দেলে আলি ও হেরিকেনের মতো দুর্ধর্ষ দুই ফুটবলার। তাদের ছাড়াই যেন আরও অপ্রতিরোধ্য স্পার্সরা। চমকের পর চমক জন্ম দিয়েছে দুই দলই।

ম্যাচের ৪ মিনিট থেকে নাটকের মঞ্চায়ন শুরু। চার মিনিটের লিড নেয় সিটি। ডি ব্রইনের পাস গিয়ে পড়ে ঠিক ডি বক্সের সামনে। স্টার্লিং বল পেয়ে একেবারে নিখুঁত বাঁকানো শটে জাল খুঁজে পান। ইংলিশ ফুটবলারের গোলে লিড।

বিজ্ঞাপন

কেউ কারও ছাড় দিতে নারাজ। এবার স্পার্সদের সমতার পালা। হোম ম্যাচে গোল পাওয়া হিউ মিন সন এবারও চমক এনে দিলেন দলকে।
৮ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের সামনে পাওয়া বলটা এক টাচেই জালে জড়ালেন এই কোরিয়ান ‍ফুটবলার। ব্যাস সমতা।

গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই সিটি শিবিরে সনের আরেকটি ধাক্কা । এবার ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের পাস। ডি বক্সের সামনে বল। ঠাণ্ডা মাথায় গোলবারের ডান প্রান্ত দিয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিং। চোখ ধাঁধানো সনের গোলে এবার লিড নেয় স্পার্সরা।

সমর্থকদের উদযাপনও শেষ হয়নি তখনও। এক মিনিটের মধ্যে টটেনহামদের সঙ্গে সমতা করে ফেলে সিটি। সার্জিও আগুয়েরোর সাজানো পাস থেকে বার্নার্ডো সিলভার গোল। ব্যবধান মুহূর্তেই ২-২।

বিজ্ঞাপন

এভাবেই চলেছে কিছু সময়। ঘরের মাটিতে সমতা যেন সইছিল না গার্দিওলার শিষ্যদের। এবার টিম প্লে‘র এক অসাধারণ প্রদর্শনী। গোলরক্ষক থেকে বল মাঝমাঠে। সেখান থেকে ব্রুইন। দু‘জন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে স্টার্লিংয়ের কাছে বাড়িয়ে দেয়া পাস। দুর্দান্ত গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা।

প্রথমার্ধে লিড নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় সিটিরা। ৫৯ মিনিটে ব্রুইনের হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট। এবার গোলের খাতা খুলেন আর্জেন্টাইন তারকা আগুয়েরো। ব্রুইন আগুয়েরোর আরেকটি রসায়ন দেখলো ইতিহাদের সমর্থকরা। গোলরক্ষক হিউগো লিওরিসকে পরাস্ত করা আগুয়েরোর গতির শটে বল নিমিষেই জালে। ব্যবধান ৪-২।

ম্যাচটা যেন পকেটে পুরে নিয়ে যাচ্ছিল সিটি। কিন্তু কিসের কী। নাটকের স্ক্রিপ্টে পরিবর্তন আনলো সফরকারিরা। ৭৩ মিনিটে সিটির সর্বনাশ! ট্রিপারের পাস থেকে গোল করে বসেন টটেনহামের ফার্নান্দো। তাতেই অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে টটেনহাম।

জুভেন্টাসের মাটিতে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে সেমিতে পা রাখা আয়াক্সের সঙ্গেই মাঠে নামবে টটেনহাম। কে যাবে ফাইনালে সেটা নাহয় সেই ম্যাচের জন্য জমিয়ে রাখা যাক। তবে, একটা কথা বলাই যায়- ইউসিএলে ‘চোকার’ সিটি তাদের ভাগ্য বদলাতে পারেনি এবারও।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন