বিজ্ঞাপন

চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

April 18, 2019 | 4:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নিতে এক প্রার্থীর করা আবেদন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মো. এমদাদুল হক নামে ওই প্রার্থীর আবেদন নিষ্পত্তি করতে উপচার্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, গত ২৭ মার্চ প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা দিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান মো. এমদাদুল হক। প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছানোর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষার্থী পথ আটকে তাকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নিয়ে যায় এবং টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এমদাদুল হককে তারা মারধর করে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্যাগোডায় নিয়ে গিয়েও মারধর করে তারা।

বিজ্ঞাপন

কেবল তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে নিয়ে আবারও মারধর করে এমদাদুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা। অভিযোগ করা হয়, এমদাদুল শিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত। পুলিশ সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছিল। প্রক্টর ও ভিসি মহোদয়কে জানানো হয় বিষয়টি। কিন্তু প্রক্টর ও ভিসি কোনো পদক্ষেপ নেননি। নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ তাকে হাটহাজারী থানায় নিয়ে যায়। বিকেল ৫টার দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসে পুরা ঘটনাটি শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। মারধর করে এমদাদুল হকের গায়ের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। থানার ডিউটি অফিসার তার একটি শার্ট দেন। ৫টার দিকে ছাড়া পেয়ে এমদাদুল তার এক বন্ধুর বাসায় চলে যান, জানান জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

তিনি আরও জানান, এই ঘটনার দু‘দিন পরে ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এমদাদুল। এতে অনুরোধ করেন যেন তাকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এমদাদুল হক ২০১২-১৩ সালে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে সিজিপিএ ৪.৮৮ পেয়েছেন। তার এই এক্সেলেন্ট রেজাল্টের জন্য ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বর্ণপদক দেন। এমন ভালো রেজাল্ট করার পরও একজন শিক্ষার্থী যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না পায়, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এই ঘটনার কোনো সমাধান না পেয়ে আদালতে রিট করা হয়েছে। আজ রিট আবেদনটির শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এমদাদুল হকের আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে কোনোভাবেই প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষকের ‍দুই খালি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়টা সম্পন্ন করা যাবে না। এছাড়া আদালত শুনানির এক পর্যায়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান অবক্ষয়ের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন