মুয়েলারের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা চালিয়েছিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার সাথে কোনো আঁতাত ছিল না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবিরের। তবে রুশদের ব্যবহার করে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর তথ্য প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন তার শিবিরের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি, নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ বিষয়ক তদন্ত একাধিকবার বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। তদন্ত নিয়ে মুয়েলারের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। খবর বিবিসির।

হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলারের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মিশ্র রূপ প্রতিফলিত হয়েছে- সন্দেহজনক ও নির্দোষ। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলই প্রতিবেদনটি তাদের নিজের মতো করে বিতর্কে ব্যবহার করছে।

সম্প্রতি মুয়েলার ও তার দলের পুরো প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। ৪৪৮ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশদের সঙ্গে কোনো আঁতাত ছিল না ট্রাম্পের। কিন্তু তিনি নানা বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। যদিও তার চেষ্টাগুলো সফল হয়নি।

মুয়েলারের প্রতিবেদন অনুসারে, রুশ হস্তক্ষেপ তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির ব্যাপারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তিনি বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেননি- কিন্তু তদন্ত বাধাগ্রস্ত একাধিকবার চেষ্টা চালিয়েছেন। এমনকি তদন্ত বন্ধ করতে মুয়েলারকে বরখাস্তও করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প।

প্রতিবেদন অনুসারে, তদন্তে পাওয়া তথ্য যাচাই করলে প্রেসিডেন্টের আচরণ ও উদ্দেশ্য বিবেচনায় এটা বলা কঠিন যে, তিনি কোনো অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করেননি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো প্রমাণ না পাওয়া যাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তার অনৈতিক ও অবৈধ নির্দেশ পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কমি, সাবেক হোয়াইট হাউজ কাউন্সেল ডন ম্যাকগাহন ও সাবেক প্রচারণা শিবির ব্যবস্থাপক কোরি লিওয়ান্ডোওস্কি।

এছাড়া, মুয়েলারের তৈরি করা প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেওয়ার সময় কেবল রুশ আঁতাত সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির প্রয়াস সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেননি। এখান থেকেও ইঙ্গিত মেলে যে, ট্রাম্প তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করেছেন।

সারাবাংলা/আরএ