April 19, 2019 | 10:56 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
ফেনী: ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের এজহারভুক্ত আসামি জাবেদ হোসেন ও জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পাকে আদালতে উপস্থাপন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে তাদের উপস্থাপন করা হয়। তারা দু’জনই রিমান্ডে ছিলো।
জাবেদকে গত ১৩ এপিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন থেকে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে উম্মে সুলতানা পপিকে ১০ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে আটক করা হয়। এরপর ১১ এপ্রিল সুলতানা পপিকে ৫ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক শাহ আলম আসামিদের আদালতে উপস্থিত করার তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তাদের জন্য নতুন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে না। তারা দু’জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে কিনা সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করেননি।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদারাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নুসরাতকে কৌশলে নুসরাত ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পিবিআই তদন্ত শেষে নিশ্চিত হয় জেলে বসে রাফিকে হত্যার নির্দেশ দেন মাদরাসার অধ্যক্ষ (বর্তমানে বরখাস্ত) সিরাজ উদদৌলা। ওই নির্দেশের রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক ও ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফেজ আব্দুল কাদেরের রুমে বসে নুসরাতকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়।
গুরুতর দগ্ধ হওয়ার পাঁচদিন পর গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যান।
সারাবাংলা/এমও