বিজ্ঞাপন

মুজিববর্ষ উদযাপনে কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

April 20, 2019 | 1:08 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করতে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জাতীয় কমিটির পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরে দলীয় কমিটি গঠন করার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী এমন আহ্বান করেন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গণভবনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ১২ এপ্রিল শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লিখিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। পাশাপাশি বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোতে ‘মুজিববর্ষ’ পালনে কি কি কর্মসূচি নেওয়া যায় সে বিষয়েও পরামর্শ চান। ওই দুই বৈঠকের ফলোআপ হিসেবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যৌথসভায় ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা নিতে পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, সভায় নেত্রী ‘মুজিববর্ষে সারাবছর জাঁকজমকপূর্ণ কর্মসূচি উদযাপন করার নির্দেশনা দেন। দেশি ও বিদেশি কবি, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকদের কাছ থেকে লেখা আহ্বানের নির্দেশ দেন। আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোও বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মুজিববর্ষ পালন করবে। এরইমধ্যে জাতীয় উদযাপন কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটিসহ কিছু উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সামনে আরও কিছু উপ কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি সারাদেশের প্রতিটি জায়গায় দলীয়ভাবে কমিটি গঠন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন:   তৃণমূলকে ঢেলে সাজিয়ে আওয়ামী লীগকে আরও মজবুত করা হবে: শেখ হাসিনা

প্রসঙ্গত, ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালিত হবে। এরইমধ্যে ২০২০ সালে স্বাধীনতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে জাতীয়ভাবে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতারা জানান, ‘নেত্রী, মুজিববর্ষকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সরকারি কমিটির পাশাপাশি দলীয়ভাবে দেশের সব জায়গায় কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি দলীয়ভাবে মুজিববর্ষ পালনে দেশের সকল জায়গায় প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে বছরব্যাপী ব্যাপক জাঁকজমভাবে উদযাপিত হয়। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম, স্বাধীনতা-সংগ্রামে তার ভূমিকা, বাকশাল সম্পর্কে তার যে সিদ্ধান্ত অর্থ্যাৎ জাতির পিতার পুরো জীবনে যত রাজনৈতিক কর্মকান্ড আছে সেসব কর্মকান্ডকে জাতি এবং এই জেনারেশনের সামনে তুলে ধরার নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এ লক্ষ্যে বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন যত রাষ্ট্রপ্রধান আছে, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় সমর্থন করেছে, তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচসহ আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতারা।

তৃণমূল ঢেলে সাজাতে সাংগঠনিক কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে নেতারা জানান, সে ব্যাপারে তেমন কোনো সাংগঠনিক নির্দেশনা দেননি দলীয় সভানেত্রী। শনিবার (২০ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই মিটিংয়ে কিছু সাংগঠনিক আলোচনা হবে।

যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সভা পরিচালনা করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্ণেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, একেএম এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, এসএম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, মির্জা আজম, এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, মারফা আক্তার পপিসহ আরও অনেকে।

সারাবংলা/এনআর/জেএএম

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন