বিজ্ঞাপন

পোশাক খাতে খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা: টিআইবি

April 23, 2019 | 12:10 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পোশাক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। এছাড়া, শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপীর ২৬ প্রতিষ্ঠানই পোশাক খাতের।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করছেন টিআইবির নাজমুল হূদা মিনা। পোশাক খাতে অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলে ১১ টি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ না হওয়া। ৩০ মিটার উচ্চতার উর্ধ্বে কোনো ভবনের অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের লজিস্টিক ঘাটতিও অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স কর্তৃক অধিভুক্ত প্রায় সকল কারখানায় (৪৩৪৬ টি) প্রাথমিক পরিদর্শন শেষ করা হয়েছে। তবে, সমন্বিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কার কাজের ক্ষেত্রে ২৬ শতাংশ কারখানার অগ্রগতি ৫০ শতাংশের নিচে, যার অধিকাংশ কারখানা (৭১১ টি) জাতীয় উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। নতুন বা স্থানান্তরিত ৯৫০ টি কারখানা এখনো পরিদর্শক কার্যক্রমে যুক্ত হয়নি। সরকারের নির্দেশনা না মেনে বিজিএমইএ কর্তৃক ২০০ নন কমপ্লায়েন্ট কারখানায় ইউডি (ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন) সুবিধা অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তৈরি পোশাক খাতে অধিকাংশ সাবকন্ট্রাক্ট নির্ভর কারখানায় নূন্যতম মজুরি দেয়া হয়না বলে জানিয়েছে টিআইবি। নতুন মজুরি কাঠামোতে মালিকপক্ষের মূল মজুরি ২৩ শতাংশ বাড়ানোর দাবি করা হলেও প্রকৃত হিসাবে ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তা প্রায় ২৬ শতাংশ কম। গ্রেডিং বৈষ্যমের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৫ হাজার শ্রমিককে আসামি করে ৩৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৬৮ টি কারখানায় ১০ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। মজুরির ক্ষেত্রে খাতটির অগ্রগতি বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে ৭৬ শতাংশ মজুরি বাড়িয়ে ন্যুনতম ৫৩০০ টাকা এবং ২০১৮ সালে ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন