বিজ্ঞাপন

সৌম্যর পাগলাটে ব্যাটে শিরোপার হাসি আবাহনীর

April 23, 2019 | 4:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সমীকরণটি এমন; ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের শিরোপা ঘরে তুলতে হলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে কোন রকম জিতেতে পারলেই কেল্লাফতে আবাহনীর। অপর ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ বিশাল ব্যবধানে জয় পেলেও ভয় নেই। কেননা সমান ২৪ পয়েন্ট নিয়ে রূপগঞ্জ আবাহনীকে চোখ রাঙানি দিলেও নেট রান রেটে আবাহনীই ছিল বেশ এগিয়ে।

বিজ্ঞাপন

আকাশী নীলদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে একটি বিষয়েই, ভুলেও হারা যাবে না। হেরে গেলে এবং রূপগঞ্জ কোন রকম জয় তুলে নিতে পারলেই পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ায় লিগ শিরোপা হাত ছাড়া হয়ে যাবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর। তখন রূপগঞ্জের পয়েন্ট দাঁড়াতো ২৬, আবাহনীর ২৪।

ঠিক এমন সমীকরণ মাথায় রেখেই মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দু’দলকে মাঠে নামতে হয়েছে। যেখানে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ তাদের কাঙ্খিত জয় তুলে নিলেও সৌম্য সরকারের পাগলাটে ব্যাটিং তাদের শিরোপা স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।

১৫৩ বলে তার রেকর্ড অপরাজিত ২০৮ রানের ইনিংসে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ৩১৮ রানের দূর্গম লক্ষ্যও আবাহনী ছুঁয়ে ফেলেছে। তাও মাত্র ১ উইকেটের খরচায় এবং বল বাকি ছিল আরো ১৭টি। তাতে ৯ উইকেটের বড় জয় ধরা দিয়েছে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনদের শিবিরে। সৌম্যর ইনিংসে ছিল ১৪টি চার আর রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৬টি ছক্কার মার।

বিজ্ঞাপন

সৌম্য

আর এই জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২০তম শিরোপা ঘরে তুললো অপ্রতিরোধ্য আবাহনী লিমিটেড। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় ও টানা দ্বিতীয়।

সৌম্যর পাগলাটে ব্যাটিংয়ের দিনে হেসেছে জহুরুল ইসলাম অমির ব্যাটও। ১২৮ বলে ব্যক্তিগত ১০০ রানে ফিরে গেছেন ইমতিয়াজের শিকার হয়ে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেএসপির রান প্রসবা উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফির বোলিং তোপে শুরুটা নিদারুণ বেদনার করেছিল শেখ জামাল। দলীয় ৮৫ রানেই ড্রেসিং রুমে ফিরে যান টপঅর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যান। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ১৫, ফারদীন আহমেদ ৩৪, টপঅর্ডারের রাকিন আহমেদ ১, নাসির হোসেন ১৩ ও নুরুল হাসান সোহান ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন ১৭ রানে। তবে মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন তানবির হায়দার। ১১৫ বলে খেলেছেন ১৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর লোয়ারমিডল অর্ডারে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ইলিয়াস সানি (৪৫) ও মেহরাব হোসেন (৪৪)। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩১৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় শেখ জামাল।

উইকেট শিকারে আবাহনীর হয়ে দাপট দেখিয়েছেন মাশরাফি। একাই তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাকি ৫ উইকেটের ১টি করে শিকার করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সৌম্য সরকার।

৩১৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও জহুরুল ইসলাম অমি। ৭৮ বলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্রিকেটে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। সেখানেই থামেননি এই মারকুটে ওপেনার। ব্যাট হাঁকিয়েছেন ইনিংসের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তাতে জ্বলে পুড়ে খাঁক হয়ে গেছে শেখ জামাল বোলারদের লাইন আপ। ম্যাচ শেষ হয়েছে মাত্র ১ উইকেটের খরচায়। জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে ব্যক্তিগত ১০০ রানে ইমতিয়াজ হোসেনের বলে শহিদুল ইসলামের তালুবন্দি হয়েছেন অমি। তার বিদায়ের পর ৪৭.১ ওভারে ৩১৯ রান তুলে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আবাহনী।

হয়েছে জুটির রেকর্ডও। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যে কোন উইকেটে সৌম্য-জহুরুলের ৩১২ রানের জুটিই এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০৭ সালে তৃতীয় উইকেটে ধীমান ঘোষ ও মাহবুবুল করিমের ২৯০ ছিল সর্বোচ্চ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

** সৌম্যর ডাবলে তছনছ রেকর্ড বইয়ের পাতা

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন