বিজ্ঞাপন

‘রমজানে দুপয়সা বেশি মুনাফার জন্য ভেজাল দেওয়া জঘন্য কাজ’

April 24, 2019 | 11:11 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে বেশি মুনাফার জন্য খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার মতো অপকর্ম করা সত্যিই খুব জঘন্য কাজ। ভেজাল দেবার দরকারটা কী, দুপয়সা বেশি মুনাফা না করে ভেজালমুক্ত জিনিস মানুষকে দিন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নে দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন জানতে চান। বিকেল ৬টা ৫০ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভেজালের বিরুদ্ধে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকি। এটা বলতে গেলে সারাবছর ব্যাপী চলতে থাকে এবং যেখানে এরকম ধরনের ভেজাল দেখা যায় সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একদিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ভেজালের বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে এবং সেটা অব্যাহত থাকবে। আর অবশ্যই রমজান মাসে যে মোবাইল কোর্ট আরও বেশি করে পরিচালনা করাবো, তারা এই ভেজালের বিষয়টা দেখবে।

২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর ডাবল ডিজিটে মুল্যস্ফিতি ছিল উল্লেখ করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু আমরা দক্ষতার সঙ্গে নামিয়ে আনি। বর্তমানে আমাদের পাঁচ দশমিক পাঁচ ভাগ মূল্যস্ফিতি। কাজেই আমরা সবসময় চেয়েছি দ্রব্যমূল্য মানুষের নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং আর মানুষের খাদ্যদ্রব্য যাতে মানসম্মত হয় স্বাস্থ্যসম্মত হয় এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সচেতন।আমাদের ভেজালবিরোধী অভিযান চলছে, এটা অব্যাহত থাকবে এবং রমজান মাসে আরও বেশি করে পরিচালনা করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

‘যারা এই ধরনের ব্যবসা করেন বা ভেজাল দেন তাদেরও বলবো, ভেজাল দেবার দরকারটা কী। যদি দুপয়সা বেশী মুনাফা করতে হয় ভাল জিনিস তারা দিক মানুষকে। কিন্তু এইভাবে মানুষের ক্ষতি করা, এটা তো ঠিক না। আর বিশেষ করে, রমজান মাসে একটা পবিত্র মাসে এ ধরনের অপকর্ম করাটা, সত্যিই খুব জঘন্য কাজ। আমি আশা করি যে, মানুষ এই পথ থেকে সরে আসবে’—বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে যানজট ও জনগণের হাটাচলার দিক ঠিক রেখে ফুটপাতে হকার্সদের ব্যবসা করার সুযোগ দিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি-না জানতে চান ক্ষমতাসীন শরিক জোটের শিরীন আখতার।

তার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হকারদের স্থায়ী ব্যবসার জন্য কিন্তু হকার্স মার্কেটও করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে হকার্স মাকের্টে যারা যাওয়ার গেছে কিন্তু আবার হকার্সরা রাস্তায় চলে আসে। এটা প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে। যান চলালের সুবিধার জন্য যানজটমুক্ত করা বা ফুটপাত দিয়ে সাধারণ জনগণ চলবে, এটা তাদের অধিকার। সেই ক্ষেত্রে ঈদ বা অন্যান্য পর্ব উপলক্ষ্যে অস্থায়ীভাবে দোকান দিয়ে যারা বসে তাদেরকেই হকার্স বলে তারা স্থায়ীভাবে বসে না। সেই ক্ষেত্রে মনে করি যে ছুটির দিন (শুক্র -শনিবার) এই দুইদিন আমাদের যে সমস্ত জায়গাগুলি আছে, সেখানে বেশকিছু রাস্তা তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিতে পারি। যাতে তারা বসতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

‘তাছাড়া অফিস শেষ হয়ে যাওয়ার পর যাতে হকার্সরা বসতে পারে তার জন্য কিছু ব্যবস্থা অস্থায়ীভাবে নেওয়া যায় ঈদকে সামনে রেখে। আমাদের অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য কিন্তু এখন সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী। সেখানে যারা অস্থায়ীভাবে বসে তারা নিজের এলাকাও কিন্তু দোকান খোলার সুযোগ পেতে পারে। তারা সেটা করতে পারে। কারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। আর ঢাকা শহরে সুর্নিদিষ্ট কয়েকটি এলাকা যদি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়, সেটা আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু সেটা দেওয়া হলেও হকার্সরা সেখানে যায় না। আবার ওই রাস্তা ফুটপাত দখল করে ফেলে। এর ফলে সাধারণ মানুষের যেমন চলাফেরার অসুবিধা হয় এবং যানজটের সৃষ্টি হয়,—বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই ধরনের ব্যবসা বা বাণিজ্য করবে, তাদের জন্য আমরা সুনির্দিষ্ট সময় এবং স্থান নির্দিষ্ট করে দিতে পারি এবং সেটা আমরা সিটি করপোরেশনকে বলবো তারা যেন সুর্নিদিষ্ট স্থান এবং সময় ঠিক করে দেয়, যেখানে হকার্সরা বসে তাদের পণ্য কেনাবেচা করতে পারে।’

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন